প্রায় দুই বছর ধরে এলাকার দুয়ারে দুয়ারে বিরিয়ানির হাঁড়ি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বিরিয়ানি কাকু, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত শ্যামপুরের মানুষ যা ভাবতে পারেননি, শহর বা শহরতলির মতো তাঁরাও দুয়ারে বসে বিরিয়ানি পাবেন। এ যেন গল্পকথা, ঘরে বসেই সুস্বাদু বিরিয়ানি মিলছে, তাও আবার কম দামে। মাত্র ৬০ টাকা এক প্লেট বিরিয়ানি, দাম কম হলেও মোটেও পরিমাণ কিন্তু কম নয়। প্রায় ১০০ গ্রাম চালের ভাত, ৭০ থেকে ৮০ গ্রামের এক টুকরো মুরগির মাংস, এক টুকরো আলু এবং সঙ্গে গোটা একখানা ডিম।
advertisement
আরও পড়ুন : ঐন্দ্রিলা তাঁদের কাছে আদরের 'মিষ্টি', বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে শূন্য আকাশ সাগরে আজ শুধুই দুষ্টুমির স্মৃতি
ব্রাহ্মণ পরিবারের বিধান চক্রবর্তী, দীর্ঘ দিন পুজো করেই সংসার চলেছে তার, মনে ব্যবসা করার স্বপ্ন ছিল। পুজোর সূত্রেই রাজস্থানে গিয়েছিলেন বিধানবাবু, সেখানে থাকতে থাকতে তার নজরে পড়ে ফুটপাতে বেশ চাহিদার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বিরিয়ানি। সেই বিরিয়ানির স্বাদও নিজে গ্রহণ করে দেখেছেন মন্দ নয়, তবে কম দাম। তাতেই ফুটপাতে দেদার বিকোচ্ছে বিরিয়ানি। তখনই চিন্তা করেছিলেন বিধানবাবু , এই ব্যবসা যদি শুরু করা যায়, তবে মন্দ হয় না।
আরও পড়ুন : বাড়ির মেয়ে-বউরা বানাচ্ছে পাঁঠার মাংসের কষা, কারি, ঘুগনি, মাত্র ২০০ টাকায় খাবার বিকোচ্ছে ভালই
সেই মতো কয়েক বছরের পরিকল্পনা করে হঠাৎই ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর দেশের বাড়ি থেকে অর্থাৎ হাওড়া শ্যামপুর গাদিয়াড়া থেকে তিনি দুয়ারে বিরিয়ানি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রথমদিকে সেভাবে সাড়া মেলেনি, তবে দু'বছর পেরিয়ে বর্তমানে দারুণ চাহিদা রয়েছে দুয়ারে বিরিয়ানির। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ প্যাকেট বিক্রি বা চাহিদা থাকে। সকাল থেকে বিরিয়ানি তৈরির প্রস্তুতি চলে তারপর ফোনে এক এক করে অর্ডার আসে। তারপর প্রতিদিন বিকাল সাড়ে চারটে পাঁচটা বাজলেই গরম বিরিয়ানির হাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়া।