পশ্চিম বাংলায় প্রথম এবং হাওড়া জেলার মধ্য একমাত্র প্রাচীন সরস্বতী মন্দির। এটি অবস্থিত হাওড়া পঞ্চাননতলার উমেশ চন্দ্র দাস লেন, দাস বাড়িতে। মন্দিরে বিরাজমান শ্বেত পাথরের ৩-৪ ফুট উচ্চতার সরস্বতী মূর্তি। এ সময় থেকে একশত বছর আগে ১৯২৩ সাল। স্নান যাত্রার দিন মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিবছর ওই দিনই বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। জানা যায়, তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকাল ১৯১৯ সালে রাজস্থান থেকে এ বাংলায় সরস্বতী মূর্তিটি আনা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টি হবে? নাকি বাড়বে অস্বস্তি? হাওয়া অফিসের বিরাট আপডেট
দাস পরিবারের সদস্য তথা উমেশ চন্দ্র দাসের চার ছেলের মধ্যে একজন রণেশ দাস। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনিই রাজস্থান থেকে সরস্বতী দেবীর মূর্তিটি নিয়ে এসেছিলেন। মূর্তিটি নিয়ে আসার পর মন্দির নির্মাণ করতে কেটে যায় প্রায় তিন বছর। মন্দিরে প্রতিমূর্তিটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৩ সালে। বাবা উমেশ চন্দ্র দাসের অবর্তমানে মা এবং বাকি তিন দাদা ও ভাইদের সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রীতিনীতি মেনে মাঘে শুক্লা তিথিতে সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন নিত্যপুজো হয় নিয়ম মেনে।
ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী মন্দিরে বিশেষ রীতি হল। পুজোর দিন ১০৮টি মাটির খুড়িতে বিভিন্ন ফল ও বাতাসায় পুজো নিবেদন।
রাকেশ মাইতি