এই খবর পেয়ে এগিয়ে আসে আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ'। সংগঠনের সদস্যরা সাগরের বাড়িতে গিয়ে সেদিন তার বাবাকে বুঝিয়ে ছিলেন। তারপর নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ছেলেকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বনাথ বাবু। বছরভর বই, খাতা দেওয়া বা ফ্রি-কোচিং সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। সেই সাগরই এবার উচ্চমাধ্যমিকে কৃতিত্বের ছাপ রাখল। সাগরের কথায়, আমার পরিবারের অবস্থা খুব সঙ্গীন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাওড়া থেকে দুর্গার পাড়ি লন্ডনে! জোর কদমে চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ
নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে অন্ধকার সংসারে আলো জ্বালাতে চাই। ছেলের সাফল্যে ভীষণ উচ্ছসিত সাগরের বাবা-মা। বাবা বিশ্বনাথ ঘোড়ুইয়ের কথায়, সেদিন একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বসেছিলাম। তাপস, পৃথ্বীশদের জন্যই আজ ছেলে আমার এতো দূর এগিয়েছে। ওরা এভাবেই সকলের পাশে দাঁড়াক।
আরও পড়ুনঃ কথা রাখেনি পঞ্চায়েত! চাঁদা তুলে গ্রামবাসীরাই হাত লাগালেন রাস্তা তৈরিতে
সাগরের মা শ্রীমা ঘোড়ুই জানান, ছেলের সাফল্যে আমরা সকলে পাড়া-প্রতিবেশী ও খুশি। তবে সমস্যা যেন আরো বেড়ে গেল! ছেলের উচ্চ শিক্ষিত হবার স্বপ্ন থাকলেও অর্থনৈতিক অভাব পিছু টান। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে সাগরের উচ্চশিক্ষার খরচ যোগানো।
Rakesh Maity