Howrah: কথা রাখেনি পঞ্চায়েত! চাঁদা তুলে গ্রামবাসীরাই হাত লাগালেন রাস্তা তৈরিতে

Last Updated:

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে এলাকার মানুষ মনস্থির করে। তারা নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা তৈরি করবে। টানা কয়েক বছর পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার জানিয়েও কোনোরকম সুরাহা মেলেনি।

+
title=

হাওড়া: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে এলাকার মানুষ মনস্থির করে। তারা নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা তৈরি করবে। টানা কয়েক বছর পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার জানিয়েও কোনোরকম সুরাহা মেলেনি। পরিবর্তন হয়নি তাদের দুর্ভোগের। বর্ষায় কখনও হাঁটু বা একবুক সমান জল পার করে যাতায়াত। কখনো কখনো অতিবৃষ্টিতে জমা জলের কারণে গৃহবন্দি হয়ে পড়ে ঐ এলাকার মানুষ। পাঁচলা নলডাঙ্গার বাঁধের (নুর পাড়ার) প্রায় 70 থেকে 80 টি পরিবার।স্থানীয় মানুষ জানায় প্রায় চার দশক পূর্বে এখানে বসবাস শুরু হয়। সাহাপাড়া গোলদার পাড়া, সিপাই, মধ্যম ও মাঝেরপাড়া সহ গ্রামের অন্যান্য এলাকায় ঘন জনবসতি এলাকা থেকে মানুষ নলডাঙ্গার বাঁধে এসে বসবাস শুরু করে। কয়েক বছর পর এলাকায় ইলেকট্রিক পরিষেবা পৌঁছলেও যাতায়াত ব্যবস্থায় দারুন সমস্যা এখনও। এখনো প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পুরোটাই কাঁচা মাটির। কাঁচা মাটির গা বেয়ে চলে গেছে পুটিখালি খাল। বর্ষায় খাল এবং রাস্তা আলাদাভাবে বোঝার কোনো উপায় থাকে না। সমস্যায় পড়তে হয় গর্ভবতী অথবা কোন রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে, রাস্তা খারাপ তাই এলাকায় পা পড়ে না কোন ডাক্তারের।
অন্যদিকে বর্ষায় কয়েক মাস স্কুল পড়ুয়াদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত প্রশাসনের একাধিক বার প্রতিশ্রুতি। তার প্রতি আস্থা রেখেই পার হয়েছে অনেকগুলো বছর।স্থানীয় মানুষ জানায় দিন ১৫ আগে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই রাস্তা তারা করে দিতে পারছেন না এই মুহূর্তে। তা শুনে এলাকার মানুষ আশাহত হয়ে পড়ে। তবে বহু প্রতিকূলতার মাঝেই ঘুরে দাঁড়ায় কয়েক জন, ফকির সেপাই, হারুন রশিদ ও আসলাম মল্লিকের মত মানুষেরা, উদ্যোগ নেন এই রাস্তা এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেরাই তৈরি করবে। কথামতো সমস্ত পরিবারগুলোকে একজোট করে চাঁদা তুলে রাস্তা তৈরি কাজ শুরু হয়। ওই এলাকা থেকে কোনক্রমে ৪০ হাজার টাকার মতো জোগাড় হয়েছে। বাকি এখনো প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মায়ের স্বপ্নপূরণ করে প্রথম স্কুল শিক্ষকের, সেই গ্রামে এডুকেশন হাব হওয়ার পথে
রাস্তা তৈরি করতেই হবে! একদিকে দুর্ভোগ অন্যদিকে ছেলেদের লেখাপড়া পিছিয়ে পড়া। গুরুত্ব রেখে এলাকার কয়েকজন বেরিয়ে পড়েন পার্শ্ববর্তী গ্রামে। রাস্তা তৈরি জন্য অর্থ সাহায্যের আবেদন নিয়ে। সেখান থেকে দিন কয়েকের মধ্যেই আরো ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলেছে। তাদের এই দুর্দশা থেকে মুক্ত হতে কেউই ফিরিয়ে দেয়-নি, যে যার সামর্থ মত তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কেউ পাঁচশো কেউ হাজার আবার কেউবা ২-৫ হাজার টাকা।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ শহরের বুকে তৈরি হল গ্রাম! মেয়ের মুখে-ভাত অনুষ্ঠানে অবাক কান্ড বাবার
বাকিটুকু টাকাও কয়েকদিনের মধ্যে জোগাড় হয়ে যাবে এমনটাই আশাবাদী ওই এলাকার মানুষ। কয়েকদিন হল খাল থেকে মাটি তুলে জেসিবি মেশিন এর দ্বারা রাস্তায় ফেলার কাজ চলছে। এলাকার কিছু মানুষ টাকা পয়সা জোগাড় করতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আবার বাকিরা যে যেমন পারে গায়ে- গতরে রাস্তা তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানান, রাস্তা বেশ লম্বা যা পঞ্চায়েতের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। ওই রাস্তা কিভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন।
advertisement
Rakesh Maity
বাংলা খবর/ খবর/হাওড়া/
Howrah: কথা রাখেনি পঞ্চায়েত! চাঁদা তুলে গ্রামবাসীরাই হাত লাগালেন রাস্তা তৈরিতে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement