মাজু গ্রাম-সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হতেন। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অর্ন্তবিভাগ চিকিৎসা অমিল। বাধ্য হয়ে মানুষকে যেতে হয় জগৎবল্লভপুর, আমতা,গাববেড়িয়া,উলুবেড়িয়া বা ডোমজুড় হাসপাতালে। তবে এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের অন্যত্র চিকিৎসা পরিষেবা নিতে যেতে দারুণ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে সেই সমস্ত মানুষজন তাকিয়ে রয়েছে বেহাল স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাল ফেরার আশায়।স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও বেশ হতশ্রী বলা চলে।
advertisement
আরও পড়ুন : হোম যজ্ঞ, কুমারী পুজোর আয়োজন! অম্বুবাচী মিটতেই খুলে গেল কান্দি দোহালিয়া কালীমন্দির
আরও পড়ুন- বুধবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা,উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, কমবে দক্ষিণে
“স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাল ফেরাতে বহু চেষ্টা হয়েছে। এলাকার বিদ্বজন ও সমাজকর্মীদের নিয়ে মাজু নাগরিক কমিটি গঠন করেও কোনও সুরাহা মেলেনি”, অভিযোগ উত্তর মাজুর বাসিন্দা লোকগবেষক দিবাকর ঘোষালের। তবে তিনি জানান, মাজু প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্হিবিভাগ বিভাগ চালু রয়েছে। সেখানেই প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন পরিষেবা নিতে।
মাজু সংলগ্ন অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবি হওয়ায় বর্ষাকালে সাপে কাটা রোগীর আশঙ্কা থেকেই যায়। রোগীর ভর্তির ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। অন্য দিকে, এলাকার মানুষের দৈনন্দিন দুর্ভোগের কথা ভেবে স্থানীয় গ্রামবাসী সমীর কুমার সরকার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফোনে যোগাযোগ করেন কয়েক দিন আগে। তিনি চিকিৎসার অপ্রতুলতা ও মাজু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফিরবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে সমীরবাবুকে।
রাকেশ মাইতি