নিজেদের জমিজমা কিছু নেই। সম্বল বলতে দু'কামরা বাড়ি। পাঁচ বছর উপপ্রধান থাকার পরেও তাঁদের আর্থিক অবস্থার কোনও বদল ঘটেনি। এমনকি আবাস যোজনার ঘর পর্যন্ত নেন নি। তাঁদের দুই ছেলে। বড় ছেলে সামনের বছর মাধ্যমিক দেবে। তার বইকেনা ও টিউশনি খরচ জোগাতেও হিমশিম খেতে হয়। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বলছেন কোনরকমই সংসার চালায় তাদের উপপ্রধান।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কেমন কাণ্ড! ইনোভা গাড়িতে লুকিয়ে ২টি গরু, গাড়ি কারা চালাচ্ছিল
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানান, "সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অফিসের কাজকর্ম সেরে জরির কাজ করি। বিশেষ করে কাপড়ে পাথর বসানোর পর ৪০ টাকা কোনও রকমে পাই এবং সেটাকেও সংসারের কাজে লাগাতে হয়। এভাবেই দিনের পর দিন কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। তবে সৎ পথেই আছি আর সারা জীবনই থাকব।"
অন্যদিকে উপপ্রধানের স্বামী জানিয়েছেন "সংসার চালাতে দিনমজুরির কাজ করতে হয়। তিনি বলেন বহুদিন ধরেই এভাবেই কষ্ট মধ্য দিয়ে সংসার চলছে। তবে তাতে কোন দুঃখ নেই।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের কাজে আদৌ খুশি ছিটমহলের বাসিন্দারা? জানুন কী বলছেন তাঁরা
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন "পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং তার স্বামী খুবই ভাল মানুষ। বিশেষ করে এরা একদিকে যেমন কাজ করে সংসার চালায় অন্যদিকে এলাকার মানুষেরও পাশে থাকে।"
শুভজিৎ ঘোষ