২০১৫ সালে কৃষি দফতরের উদ্যোগে চালু হয়েছিল গোবর গ্যাস প্লান্ট প্রজেক্ট। বাড়ির গবাদি পশুর বর্জ্য যেমন গোবর দিয়ে প্লান্টেশন এর মাধ্যমে কীভাবে চাষের উপযোগ্য সার তৈরি করা যায় তাই নিয়ে চলছিল প্রজেক্ট। সেটি সফল হওয়ার পরে রাজ্যের কারিগরি দফতরের উদ্যোগে চালু করা হয় ' বায়ো গ্যাস প্লান্ট ও বায়োস্লারি টেকনিশিয়ান' এর ৪০০ ঘন্টার কোর্স। সেই কোর্সে পড়াশোনা করেই গ্রামের চাষিরা সফলভাবে উৎপাদন করছেন বায়োস্লারি ও চাষের উপযোগী জৈব জীবাণু। যার প্রয়োগ হচ্ছে নিজেদের চাষের জমিতে। ফলে বিনা সারের খরচে, কৃষকরা নিজেদের জমিতে সোনার ফসল ফলাতে পারছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেতের শিল্প, চরম আর্থিক সঙ্কটে শিল্পীরা
এদিন রাজ্যের কারিগরি দফতরের চেয়ারপারসন পূর্ণেন্দু বসু আসেন বলাগরের বাকুলিয়া গ্রামে। ৪০০ ঘন্টার কোর্স যারা সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। একইসঙ্গে স্থানীয় মানুষদের আরও উৎসাহিত করা হয় যাতে তাঁরা সকলেই এই প্রজেক্টের অংশীদার হন।
এই বিষয়ে কৃষি আধিকারিক সুশান্ত মুখার্জি জানান, "বায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে তার যে অবশিষ্টাংশ থাকে তাকে বলে স্লারি। এই স্লারি দিয়েই তৈরি হয় জৈব সার। অন্যদিকে বায়ো গ্যাস গ্রামবাসীদের ঘরে ঘরে রান্নার আগুনের যোগান দেয়। এই থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে তা যাতে আরও বৃহত্তর আকারে নিয়ে যাওয়া যায় সেই প্রচেষ্টা চলবে।"
ঘটনা প্রসঙ্গে কারিগরি দফতরের চেয়ারপারসন পূর্ণেন্দু বসু জানান, "কারিগরি দফতরের এই কোর্সটি করে এখানকার নতুন প্রজন্মের কৃষকরা বায়ো গ্যাস উৎপাদন করছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা এই কাজ করার জন্য ডাকও পাচ্ছে।" বাকুলিয়ার মতন ছোট জায়গা থেকে উঠে আসা যুবক কৃষকদের এই কৃতিত্ব রাজ্যের সাফল্য বলে মনে করছেন তিনি।
রাহী হালদার