শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বছর ৬৫-র প্রভাস আচার্য্যর বাড়িতে এখন চাইলেই কু-ঝিক-ঝিক শব্দ। সম্পূর্ণ ইস্পাতের তৈরী, লোহার চাকা সমৃদ্ধ মডেল এই ইলেকট্রিক ট্রেন কয়েকটি বিক্রিও করেছেন প্রভাসবাবু। কিন্তু বড় করে প্রকল্পটির ব্যাবসায়িক রূপ দেওয়ার আর্থিক ক্ষমতা নেই তাঁর। তাই তিনি চান এই প্রকল্পের ব্যাবসায়িক রূপ দিতে কোন উদ্যোগপতি এগিয়ে আসুক।
advertisement
পেশায় পুরোহিত আচার্য বাবুর পূজা অর্চনা করার পরে অবসর সময় তিনি পুরোটাই ব্যয় করেন এই ট্রেন তৈরির পিছনে। লোকাল ট্রেন মালগাড়ি সহ একাধিক মডেল ট্রেন তৈরি করে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনদের।তার এই ট্রেন তৈরির কারণ সম্পর্কে প্রভাসবাবু জানান, ছোটবেলা থেকেই ট্রেনের লোকো পাইলট হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে তা সফল হয়ে ওঠেনি। সংসারের ব্যাটন ধরতে পূজা অর্চনা সঙ্গে যুক্ত হতে হয় তাকে। তবে ছোটবেলার স্বপ্ন সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেননি তিনি। স্কুল জীবনের তার প্রিয় বিষয় ছিল কর্মশিক্ষা। সেই ছোটবেলাতেই তিনি শিখেছিলেন হাতের কাজ। ছোটবেলার শিক্ষা প্রকাশ পাচ্ছে বার্ধক্যতে। তার হাতের অদ্ভুত শিল্পকলা দেখে তাজ্জব হুগলী বাসি।তার স্বপ্ন বাণিজ্যিক রূপে তাঁর এই খেলনা ট্রেন একদিন খুব সফলতা অর্জন করবে।
এই খেলনা ট্রেনটির তৈরি করতে আনুমানিক খরচ ২০ হাজার টাকা। প্রভাসবাবু এই ট্রেন টির বিক্রয় মূল্য রেখেছেন ২৫ হাজার টাকা। একটি ট্রেন তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় ৬ মাস।
রাহী হালদার