এরপর মাটি খুঁড়ে মৃত শিশুর দেহটি তোলা হয়। আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের বসন্তবাটি এলাকা থেকে দেহ বের করা সময় মোতায়েন থাকে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সদ্যজাতর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পরে সমাহিত করা হয়েছিল। সেই দেহ তুলে পরীক্ষা করা হবে এবার। কারণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে শিশু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও ভুলবশত দেহটি অন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও তথ্য উঠে এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন : জিরো ইনভেসমেন্ট বিজনেস, মহিলাদের হাতে আসছে হাজার হাজার টাকা! কচুরিপানায় আয়ের নয়া দিশা
আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ এই পদক্ষেপ করেছে। শিশু চুরি না শিশু বদলে দেওয়া হল, এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও মডত সদ্যজাতর দেহটি অন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে হাসপাতাল ইতিমধ্যেই ভুল স্বীকার করেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে জুড়েই।
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত হয় আরামবাগ হাসপাতাল থেকেই। সরকারি হাসপাতালে প্রথমে রক্ত অদল-বদল করার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী, ভুল রক্ত দেওয়ায় এক রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি, হাসপাতালে চোখ চুরির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরেই আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্যজাত বদলের অভিযোগ ওঠেছে। যদিও পরিবারের দাবি, তিনদিন বয়সের ওই শিশুটিকে বিক্রি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বুকে গ্যাস জমে ভয়াবহ অবস্থা, যমে-মানুষে টানাটানি! ৫ বছরের ছটফটানি, মুক্তি হল সরকারি হাসপাতালে
জানা গিয়েছে, হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা জাসমিনা বেগমকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গত রবিবার ভোরে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। সদ্যোজাতর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে মেডিকেলের এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বুধবার পরিবারের লোকজন শিশুর খোঁজ করেন। অভিযোগ, তখন হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয় যে, মঙ্গলবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
ভুলবশত আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের একটি পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। যদিও বড়ডোঙ্গলের ওই পরিবারের দাবি, এব্যাপারে তারা কিছু জানে না। তাঁদের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে দেহ তুলে দেওয়া হয়। শিশুটিকে সমাহিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সদ্যজাতর মৃত্যু হয়েছে। ভুলবশত অন্য পরিবারের হাতে শিশুর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : জখম দেখে ছুটে এলেন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষকের বাইকে ধাক্কা ডাম্পারের! মুহূর্তে সব শেষ
খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার। ঘটনার পরে শিশু ফিরে পেতে আরামবাগ থানায় অভিযোগ তোলা পরিবারের তরফ নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় রীতিমতৌ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই ঘটনার তদন্ত নেমে মাটি খুঁড়ে শিশুটির দেহ তোলা হয়েছে। শুধুমাত্র মুখ দেখে বিচার না করে আসল পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষা করারও দাবি তোলা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও অভিযোগকারী শিশুটির পরিবারের দাবি, এটি কোনও নিছক ভুল নয়। তাদের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাই আসল বাচ্চার হদিশ পেতে জীবিত শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই ঘটনা যে আবার রাজ্যের একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতি ছবি সামনে এনে দিল, তা বলা অপেক্ষা রাখে না।






