Business Idea: জিরো ইনভেসমেন্ট বিজনেস, মহিলাদের হাতে আসছে হাজার হাজার টাকা! কচুরিপানায় আয়ের নয়া দিশা

Last Updated:

Bankura Business Idea: কচুরিপানা আর ফেলনা নয়, নয় আবর্জনাও। এদিকে ওদিকে জলাশয়ে গজিয়ে ওঠা কচুরিপানা দেখাচ্ছে আয়ের দিশা।

+
জৈব

জৈব ব্যাগ

বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: আর ফেলনা নয়, নয় আবর্জনাও। এদিকে ওদিকে জলাশয়ে গজিয়ে ওঠা কচুরিপানা আর ফেলনা নয়! বড়জোড়ার মালিয়াড়া সাঁওতাল পাড়া ও মেজিয়ার বানজোড়া সাঁওতাল পাড়ার মহিলারা এক সময় ‘বাতিলে’র তালিকায় থাকা এই কচুরিপানা থেকেই স্বনির্ভরতার দিশা খুঁজে পেয়েছেন। এখন কচুরিপানা থেকে তাদের হাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান তাক লাগানো ঘর সাজানোর সৌখিন জিনিসপত্র থেকে ব্যাগ, প্লেট আরও কত কী।
প্রান্তিক বাঁকুড়ায় জীবন জীবিকা একটু অন্যরকম। মানুষের কাছে জীবিকার কোনও আধার এলে, মন প্রাণ দিয়ে সেই কাজ করেন তারা। কচুরিপানা এক প্রকার বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এই কচুরিপানা থেকে যদি কোনও উপার্জন আসে, তাহলে সেটা হবে “জিরো ইনভেস্টমেন্ট বিজনেস”। তেমনই এক ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। খোদ আবর্জনা হিসেবে গণ্য করা কচুরিপানাই এখন উপার্জনের দিশা দেখাচ্ছে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে।
advertisement
advertisement
ওই গ্রামের দিপালী মুর্ম্মু সরলা, মুর্ম্মুরা বলেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে সাঁওতাল পাড়ার ২৫ জন মহিলা কচুরিপানা সংগ্রহের পর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর তা থেকে বিভিন্ন ধরণের ব্যাগ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করছেন। সেই ব্যাগ এখান থেকে বিক্রি হওয়ার ফলে বাড়তি কিছু রোজগার হচ্ছে বলে তারা জানান।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুজিত ঘোড়ুই বলেন, স্থানীয়ভাবেই কচুরিপানা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঋতুভেদে তিন থেকে সাত দিন রোদে শুকোনোর পর সেই কচুরিপানা কাজের উপযুক্ত হয়। আপাতত ২৫ জন মহিলাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ভাল কাজ করছেন। প্রতিটি মহিলা যাতে অন্তত ৮ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Business Idea: জিরো ইনভেসমেন্ট বিজনেস, মহিলাদের হাতে আসছে হাজার হাজার টাকা! কচুরিপানায় আয়ের নয়া দিশা