Hooghly News: দীর্ঘ ২৬ বছরের টান, অবসরের পরেও ৫০ কিলোমিটার পেরিয়ে আসছেন স্কুলে! বিনা বেতনে নিচ্ছেন ক্লাস

Last Updated:
Hooghly News: আরামবাগের মুথাডাঙা রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সত্যন্দ্রনাথ ঘোষ অবসর নিয়েছেন। কিন্তু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকের অভাবে এখনও আসছেন স্কুলে।
1/7
হুগলির আরামবাগের মুথাডাঙা রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সত্যন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি পেশায় শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন ২৭/০৯/২০২৫। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নেই স্কুলে। তাই স্কুলে আসছেন অবসর গ্রহণের পরেও। (ছবি ও তথ্য - কৌশিক অধিকারী)
হুগলির আরামবাগের মুথাডাঙা রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সত্যন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি পেশায় শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন ২৭/০৯/২০২৫। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নেই স্কুলে। তাই স্কুলে আসছেন অবসর গ্রহণের পরেও। (ছবি ও তথ্য - কৌশিক অধিকারী)
advertisement
2/7
হুগলির চণ্ডীপুরের মশাট গ্রামে বাড়ি সত্যন্দ্রনাথ বাবুর। তাঁর কর্মস্থল ছিল আরামবাগের মুথাডাঙা রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়। এসএসসি-র প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
হুগলির চণ্ডীপুরের মশাট গ্রামে বাড়ি সত্যন্দ্রনাথ বাবুর। তাঁর কর্মস্থল ছিল আরামবাগের মুথাডাঙা রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়। এসএসসি-র প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
advertisement
3/7
১৯৯৯-তে এই স্কুলে নিয়োগপত্র পান সত্যন্দ্রনাথ বাবু। আর তারপর থেকেই সেখানেই তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। গ্রামে হয়ে ওঠেন প্রিয় শিক্ষক।
১৯৯৯-তে এই স্কুলে নিয়োগপত্র পান সত্যন্দ্রনাথ বাবু। আর তারপর থেকেই সেখানেই তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। গ্রামে হয়ে ওঠেন প্রিয় শিক্ষক।
advertisement
4/7
জানা গিয়েছে, গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুলে ছোট্ট ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে স্কুলে আসেন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর ইতিহাসে ডবল MA। সেই মশাট থেকে দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে স্কুলে আসতেন তিনি। রোদ, ঝড়, জল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় উপেক্ষা করে, প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুলে পৌঁছতেন। ২৬ বছরের কর্মজীবনে স্কুলের প্রতি তাঁর অবদান কেউ কখনও ভুলতে পারবেন না।
জানা গিয়েছে, গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুলে ছোট্ট ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে স্কুলে আসেন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর ইতিহাসে ডবল MA। সেই মশাট থেকে দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে স্কুলে আসতেন তিনি। রোদ, ঝড়, জল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় উপেক্ষা করে, প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুলে পৌঁছতেন। ২৬ বছরের কর্মজীবনে স্কুলের প্রতি তাঁর অবদান কেউ কখনও ভুলতে পারবেন না।
advertisement
5/7
স্কুলেই কর্মরত দরিদ্র, অসহায় মিড-ডে মিলের কর্মী গৃহবধূদের শীতবস্ত্র দান করেছেন অবসর গ্রহণের দিনে। শুধু তাঁদেরই নয়, এই গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দরিদ্র মহিলাদেরও শীতবস্ত্র দান করলেন। পাশাপাশি, জানিয়ে দিলেন, অবসরের পরেও তিনি স্কুলে এসে যথারীতি ক্লাস নেবেন সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে।
স্কুলেই কর্মরত দরিদ্র, অসহায় মিড-ডে মিলের কর্মী গৃহবধূদের শীতবস্ত্র দান করেছেন অবসর গ্রহণের দিনে। শুধু তাঁদেরই নয়, এই গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দরিদ্র মহিলাদেরও শীতবস্ত্র দান করলেন। পাশাপাশি, জানিয়ে দিলেন, অবসরের পরেও তিনি স্কুলে এসে যথারীতি ক্লাস নেবেন সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে।
advertisement
6/7
ইতিমধ্যেই এই স্কুল তার হাত দিয়ে রাজ্যে নাম উজ্জ্বল করেছে। একাদশ-দ্বাদশের ল্যাব সাজিয়ে দেন। নিখরচায় পড়িয়েছেন বহু ছাত্রছাত্রীকে, দিনের পর দিন। তাঁরই উদার শিক্ষকতায় এই স্কুল দীর্ঘ দিনই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কলা বিভাগ থেকে খুব ভাল ফল করে। এক বছর কলা বিভাগ থেকেই রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেন এক ছাত্রী।
ইতিমধ্যেই এই স্কুল তার হাত দিয়ে রাজ্যে নাম উজ্জ্বল করেছে। একাদশ-দ্বাদশের ল্যাব সাজিয়ে দেন। নিখরচায় পড়িয়েছেন বহু ছাত্রছাত্রীকে, দিনের পর দিন। তাঁরই উদার শিক্ষকতায় এই স্কুল দীর্ঘ দিনই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কলা বিভাগ থেকে খুব ভাল ফল করে। এক বছর কলা বিভাগ থেকেই রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেন এক ছাত্রী।
advertisement
7/7
বর্তমানে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার কোনও শিক্ষক নেই। যত দিন তিনি শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকবেন, তত দিনই স্কুলে এসে ক্লাস নেবেন। যদিও সত্যন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন, আমি আমার কর্তব্য করেছি মাত্র। সরকার যথেষ্টই বেতন দেন আমাদের। সুতরাং, আমি কেন স্কুলের প্রতি আনুগত্য দেখাব না? স্কুলের উন্নয়ন, শিক্ষা, পঠন-পাঠনের দায়িত্বই তো দেওয়া হয়েছে আমাকে। সেইটুকুই করেছি। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা মানুষের মতো মানুষ হোক। এটাই আমার চাওয়া তাই স্কুলে আসা। (ছবি ও তথ্য - কৌশিক অধিকারী)
বর্তমানে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার কোনও শিক্ষক নেই। যত দিন তিনি শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকবেন, তত দিনই স্কুলে এসে ক্লাস নেবেন। যদিও সত্যন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন, আমি আমার কর্তব্য করেছি মাত্র। সরকার যথেষ্টই বেতন দেন আমাদের। সুতরাং, আমি কেন স্কুলের প্রতি আনুগত্য দেখাব না? স্কুলের উন্নয়ন, শিক্ষা, পঠন-পাঠনের দায়িত্বই তো দেওয়া হয়েছে আমাকে। সেইটুকুই করেছি। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা মানুষের মতো মানুষ হোক। এটাই আমার চাওয়া তাই স্কুলে আসা। (ছবি ও তথ্য - কৌশিক অধিকারী)
advertisement
advertisement
advertisement