Hooghly News: আরামবাগে শিশু বদল কাণ্ডে তোলপাড়, রাতারাতি মাটি খুঁড়ে দেহ তুলল পুলিশ

Last Updated:

Hooghly News: আরামবাগের শিশু বদল কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল পুলিশ। সদ্যজাতর আসল পরিচয় জানতে মাটি খুঁড়ে তোলা হল দেহ।

দেহ তোলার সময় পুলিশ বাহিনী 
দেহ তোলার সময় পুলিশ বাহিনী 
আরামবাগ, কৌশিক অধিকারী: আরামবাগের শিশু চুরি অভিযোগে বৃহস্পতিবার থেকেই সরগরম এলাকা। গোটা রাজ্যজুড়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর সেই ঘটনার তদন্তে এবার বড়সড় পদক্ষেপ। ঘটনার তদন্তে নেমে মাটি খুঁড়ে শিশুর দেহ বের করল পুলিশ। যেখানে শিশুটিকে সমাহিত করা হয়েছিল, সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিল শিশুর পরিবারও।
এরপর মাটি খুঁড়ে মৃত শিশুর দেহটি তোলা হয়। আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের বসন্তবাটি এলাকা থেকে দেহ বের করা সময় মোতায়েন থাকে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সদ্যজাতর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পরে সমাহিত করা হয়েছিল। সেই দেহ তুলে পরীক্ষা করা হবে এবার। কারণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে শিশু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও ভুলবশত দেহটি অন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও তথ্য উঠে এসেছে।
advertisement
advertisement
আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ এই পদক্ষেপ করেছে। শিশু চুরি না শিশু বদলে দেওয়া হল, এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও মডত সদ্যজাতর দেহটি অন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে হাসপাতাল ইতিমধ্যেই ভুল স্বীকার করেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে জুড়েই।
advertisement
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত হয় আরামবাগ হাসপাতাল থেকেই। সরকারি হাসপাতালে প্রথমে রক্ত অদল-বদল করার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী, ভুল রক্ত দেওয়ায় এক রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি, হাসপাতালে চোখ চুরির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরেই আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্যজাত বদলের অভিযোগ ওঠেছে। যদিও পরিবারের দাবি, তিনদিন বয়সের ওই শিশুটিকে বিক্রি দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা জাসমিনা বেগমকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গত রবিবার ভোরে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। সদ্যোজাতর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে মেডিকেলের এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বুধবার পরিবারের লোকজন শিশুর খোঁজ করেন। অভিযোগ, তখন হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয় যে, মঙ্গলবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
ভুলবশত আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের একটি পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। যদিও বড়ডোঙ্গলের ওই পরিবারের দাবি, এব্যাপারে তারা কিছু জানে না। তাঁদের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে দেহ তুলে দেওয়া হয়। শিশুটিকে সমাহিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সদ্যজাতর মৃত্যু হয়েছে। ভুলবশত অন্য পরিবারের হাতে শিশুর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার। ঘটনার পরে শিশু ফিরে পেতে আরামবাগ থানায় অভিযোগ তোলা পরিবারের তরফ নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় রীতিমতৌ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই ঘটনার তদন্ত নেমে মাটি খুঁড়ে শিশুটির দেহ তোলা হয়েছে। শুধুমাত্র মুখ দেখে বিচার না করে আসল পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষা করারও দাবি তোলা হয়।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও অভিযোগকারী শিশুটির পরিবারের দাবি, এটি কোনও নিছক ভুল নয়। তাদের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাই আসল বাচ্চার হদিশ পেতে জীবিত শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই ঘটনা যে আবার রাজ্যের একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতি ছবি সামনে এনে দিল, তা বলা অপেক্ষা রাখে না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hooghly News: আরামবাগে শিশু বদল কাণ্ডে তোলপাড়, রাতারাতি মাটি খুঁড়ে দেহ তুলল পুলিশ