হুগলির এই গ্রামে বাসিন্দাদের অভিযোগ, একের পর এক ভোট আসে আর যায়, কিন্তু এলাকার কোনও উন্নয়ন হয় না। গত পাঁচ বছরে গ্রামের রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। আর তাই তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরা স্বীকার করেছেন, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন পদক্ষেপ। তাঁদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে এমন পোস্টার লাগানোয় প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ করলেও করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: এশিয়ার বৃহত্তম বাজার এই বাংলায়, বয়স ৩০০ বছরেরও বেশি!
ছোট সরসা মুসলমান পাড়া, হাঁড়িপাড়া, আদিবাসী পাড়া, বাউল দাস পাড়া, জেলে পাড়া মিলিয়ে হাজারের বেশি ভোটার। ৫০০ টি পরিবারের বসবাস এই গ্রামগুলিতে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযোগ, গ্রামের রাস্তা এখনও কাঁচা। একটু বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যায় চারিদিক। পান্ডুয়ার অন্যান্য পঞ্চায়েতে ঢালাই রাস্তা হয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু বেলুন ধামাসিনের এই সব গ্রামগুলো সেই তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর সেই কারণেই আরও ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা তিনি জানান, গ্রামের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। ফলে গ্রামের মধ্যে কোনও যানবাহন বা গাড়ি ঢুকতে চায় না। বর্ষা হলেই সমস্ত জায়গায় জল কাদায় ভরে যায়। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে পানীয় জলের ট্যাপ কল লাগানো হলেও ওই গ্রামে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা নেই।
এলাকার মানুষের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ও ভোট বয়কটের ডাক প্রসঙ্গে পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন,পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতি প্রায় ৬ কোটি টাকার রাস্তা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ১৩২ টি পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা দিয়েছেন। ওই এলাকায় রাস্তা হয়নি এটা জানা ছিল না। গত ৩৪ বছরে কোনও কাজ হয়নি। যা করার আমরাই করছি। আমি এলাকায় যাব, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলব। ভোটের পরে কাজ হবে।
রাহী হালদার