TRENDING:

Hooghly News: কুমারটুলির রেডিও কাকু! শেষ মুহূর্তের কাজ সেরে এখন মানুষের কাছে বেতার যন্ত্র পৌঁছানোর কাজে মগ্ন

Last Updated:

মাত্র ১৭ বছর বয়সে রেডিও সারাইয়ের কাজে নিযুক্ত হন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: রাত পোহালেই মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা হবে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে। মহালয়ার দিন ভোরে অনেকেরই ঘুম ভাঙে রেডিওতে প্রভাতী অনুষ্ঠান শুনে। আর এটি একটি মাত্র দিন যখন বাড়ির রেডিওগুলিকে ঠিকঠাক করে চালানো প্রস্তুতি নেন অনেকে। কারণ রেডিওতে প্রভাতী অনুষ্ঠান না শুনলে অনেকেই মনে করেন কিছু একটা মিস করলেন তাঁরা। আর পুরাতন রেডিওকে আবারও জীবিত করার হলে ডাক পড়ে উত্তর কলকাতার অমিত রঞ্জন কর্মকার ওরফে রেডিও কাকুর।
advertisement

উত্তর কলকাতার কুমারটুলি মধ্যে রয়েছে রেডিও কাকুর দোকান। বহু পুরাতন রেডিওর সমাহার রয়েছে রেডিও কাকুর দোকানে। ছোটবেলায় রেডিওতে গান খেলার সম্প্রচার সকালের খবর এইসব শুনতে শুনতে কখন রেডিওর প্রতি তার ভালবাসা গড়ে ওঠে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে রেডিও সরাইয়ের কাজে নিযুক্ত হন তিনি। একটা সময় এই কাজের বেশ চাহিদা থাকলেও পরবর্তীতে রেডিওর চাহিদা কমে য়াওয়াতে কাজ হারাতে থাকেন রেডিও সারাইয়ের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষই। কিন্তু রেডিও কাকু হাল ছাড়েননি। হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি রেডিও ঠিক করবার পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকেন।

advertisement

আরও পড়ুন : দল ছাড়তে চেয়ে ফেসবুকে বার্তা হাওড়ার তৃণমূল বিধায়কের, একই সুর মন্ত্রী অরূপের গলায়

আরও পড়ুন :  আগামিকাল মহালয়ায় কি প্রবল বৃষ্টি নাকি ভ্যাপসা গরম, জেনে নিন তর্পণে যাওয়ার আগেই

View More

২০০০ সাল পর্যন্ত কোনওরকমে তার ব্যবসার চললেও তার পর থেকে অথৈ জলে রেডিও কাকুর ব্যবসা। আর্থিক অনটন সাংসারিক টানাপোড়নের মধ্যেও রেডিও কাকু কিন্তু রেডিও ছেড়ে অন্য কোন ব্যবসার সঙ্গে নিযুক্ত হননি। ভাগ্যের চাকা আবারও ঘোরে। ২০১০ সালের পর থেকে কুমারটুলি পাড়ায় আনাগোনা তৈরি হয় ফটোগ্রাফারদের। রেডিওর দোকান দেখে অনেকেই বাড়ির রেডিও সারানোর জন্য সেগুলিকে নিয়ে আসতে শুরু করেন রেডিও কাকুর কাছে। কারওর বাবার বিয়ের রেডিও, কারওর দাদুর রেডিও কারুর বা পৈত্রিকভাবে বাড়িতে থেকে যাওয়া পুরনো রেডিও সবই আসতে শুরু করে রেডিও কাকুর দোকানে। রেডিও কাকুও নিষ্ঠার সঙ্গে সেগুলিকে সারাই করতে থাকেন। এভাবেই রেডিও কাকুর ব্যবসা আজও চলছে।

advertisement

তিনি জানান, তিনি অনেক কৃতজ্ঞ কুমারটুলিতে যাঁরা ছবি তুলতে আসেন, তাঁদের কাছে। কারণ তাদের জন্যেই তাঁর ব্যবসা এখনো জীবিত রয়েছে। এই বছর মহালয়ার আগে অনেক কাজ এসেছে তাঁর কাছে। বেশিরভাগ কাজই এনে দিয়েছেন কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের পাড়ায় ছবি তুলতে আসা ফটোগ্রাফাররা। তিনি আরও জানান, মহালয়ার জন্য এখন তার প্রচণ্ড কাজের চাপ। কাওকেই ফেরাতে পারছেন না তিনি। দিনভর কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্রয়োজন পড়বে না পুকুর বা জলাশয়ের দুরন্ত পদ্ধতিতেই মাছের ব্যবসা করলেই আয় হবে লক্ষাধিক
আরও দেখুন

রাহী হালদার

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News: কুমারটুলির রেডিও কাকু! শেষ মুহূর্তের কাজ সেরে এখন মানুষের কাছে বেতার যন্ত্র পৌঁছানোর কাজে মগ্ন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল