পৌরসভা সূত্রে খবর, ৯ বছর আগে কোন্নগর পৌরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বর্তমান পৌরপ্রধানের অভিযোগ, জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। সেই শংসাপত্র দিয়েছিলেন তৎকালীন পুরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চ্যাটার্জি। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করেন দুই অভিযুক্তই।
বর্তমান পুরপ্রধান স্বপন দাস জানান, মাস কয়েক আগেই তিনি পুরপ্রধানের পদের দায়িত্বভার নিয়েছেন। কাজের নিয়ম হবার পরেই তিনি পুরাতন কর্মীদের সার্ভিস রেকর্ড পরীক্ষা করতে শুরু করেন। তখন তিনি দেখতে পান ২০১৩ সালের ওই ব্যক্তির নিয়োগ পত্র। যে পদে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল সেটি তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত মনোজ সাহা তপশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত নয়।
advertisement
পুরপ্রধান আরও জানান, শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে জানানো হয়েছিল জানা গিয়েছে মনোজ সাহার তপশিলি জাতির শংসাপত্র টি বাতিল করা হয়েছিল মহাকুমা শাসকের দপ্তর থেকে। তার অভিযোগ প্রাক্তন পুরপ্রধানের মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে। সেই মর্মে তিনি উত্তরপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন দুই দিন আগে।
আরও পড়ুন: Howrah News: বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন জাতীয় সড়কের আন্ডারপাস, সমস্যায় মানুষ
এই বিষয়ে প্রাক্তন পৌরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চ্যাটার্জি জানান, অভিযুক্ত মনোজ সাহা যখন চাকরিতে যোগ দেন তিনি তখন পুরপ্রধান ছিলেন না। তিনি আরও বলেন তিনি জাতিগত সংশাপত্র দেওয়ার কেউ নয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর আছে। যদি কেউ অন্যায় প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: Alipurduar News: পুজোর মুখে জমছে না হাট, চিন্তায় আলিপুরদুয়ারের ব্যবসায়ীরা
অভিযুক্ত মনোজ সাহার দাবি, ২০০৮ সালে জেএনইউআরএম প্রকল্পে কাজে যোগ দেন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে। পরবর্তীতে স্থায়ী কর্মীর পদ বেরোলে তিনি আবেদন করেন। ১৪ বছর এই পৌরসভার হয়ে কাজ করেছেন তিনি। তিনি জানান, বর্তমান পুরপ্রধানকে চিঠি মারফত আবেদন করে জানতে চেয়েছিলেন তার চাকরি আছে না তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেই উত্তর তিনি পৌরসভার তরফে এখনও পাননি। বর্তমানে মনোজ কলকাতার এক বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত।
রাহী হালদার