আরও পড়ুন: পরিবারের প্রথা বজায় রাখতে ৮৪ বছরে মাচায় উঠে মা কালীকে রূপদান!
গোঘাটের এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, একজন শিক্ষিকা উপস্থিত আছেন, কিন্তু তিনি অন্য ঘরে ক্লাস নিচ্ছে। প্রধান শিক্ষিকা থাকলেও তিনি বিভিন্ন কাজে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে বেড়াতে বাধ্য হন। মাসে কয়েকদিন মাত্র বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলটিতে মোট ১০৫ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। তাদের পড়াশোনা করাতে তাই মাঝে মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ক্লাস নিতে বাধ্য হয়।
advertisement
এছাড়াও এই প্রাথমিক স্কুলটির মিড ডে মিলে পুষ্টির কোনও বালাই নেই বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। কোনও মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের পাতে ডিম জোটে আবার কোনও মাসে ডিমও জোটে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কোনদিনই মাংস দেওয়া হয়নি মিড ডে মিলে। কাঠের উনুনে মিড ডে মিলের রান্না হয়ে আসছে বছরের পর বছর। স্কুলের এই বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী রায়। তিনি বলেন, বছরের পর বছর এভাবেই খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে পঠন-পাঠন চালাতে হচ্ছে। স্কুলের এরকম বেহাল অবস্থার কারনে অভিভাবকরাও স্কুল পাঠাচ্ছেন না পড়ুয়াদের। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে দ্রুত নতুন শিক্ষিকা নিয়োগের দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা।
শুভজিৎ ঘোষ