১৭ মার্চ চন্দননগর থেকে যাত্রা শুরু করেন পিয়ালী। তার দুই দিন বাদে ট্রেন থেকে নেমে নেপালের পথে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। যাত্রা শুরুর ঠিক এক মাসের মাথায় ১৭ এপ্রিল সকাল ৮ টা ৫০ মিনিট নাগাদ অন্নপূর্ণার শৃঙ্গে পা রাখেন পিয়ালী। সোমবার সকালেই নেপালের ওই এজেন্সির তরফ থেকে পিয়ালীর বাড়িতে ফোন করে জানান সুসংবাদ। পিয়ালীর মা স্বপ্না জানান, ব্যাংক থেকে লোন করে পিয়ালী বেরিয়ে পড়েন পাহাড়ের ডাকে। লক্ষাধিক টাকার যে খরচ তার জন্য একটাই ভরসা ক্রাউড ফান্ডিং।
advertisement
এত কিছুর পরেও তার আক্ষেপ রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার কখনওই এগিয়ে আসেনি পিয়ালীর জন্য। তবে এগিয়ে এসেছে সাধারণ মানুষ থেকে বহুজাতিক সংস্থা। মেয়ের সফরের ৫০ লক্ষ টাকা এখনো বাকি। যদি প্রশাসনের লোক এগিয়ে আসেন মেয়ের পাশে তাহলে মেয়ের লক্ষ্য পূরণ করে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবেন আরও।
প্রসঙ্গত পিয়ালী এর আগে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে নজির গড়েছিলেন। একের পর এক আট হাজারি পর্বতমালার শিখরে পৌঁছেছেন তিনি। ধৌলাগিরি, লোথসে, সামিট করে অন্নপূর্ণা ও মাকালুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বঙ্গকন্যা। এর আগে প্রায় বিনা অক্সিজেনেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ধৌলাগিরি শীর্ষে। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য শীর্ষে পৌঁছানোর একটু আগে তাঁকে অক্সিজেন ব্যবহার করতে হয়েছিল। এই বারও পিয়ালী প্রায় বিনা অক্সিজেনেই পৌঁছে গিয়েছিলেন পাহাড়ের শীর্ষে। তবে সেই আবহাওয়া খারাপের জন্যেই খুব সামান্য পরিমাণে অক্সিজেন ব্যবহার করতে হয় তাঁকে।