লোকাল ট্রেন মানেই বিতর্কসভা। যাদের লোকাল ট্রেনে নিয়মিত যাওয়ার অভ্যাস আছে তাঁরা ভালোমতোই জানেন, এখানে বাইডেন থেকে পুতিন, মোদি থেকে মমতা, দিলীপ ঘোষ থেকে মহম্মদ সেলিম সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত দেওয়ার জন্য সব সময় কেউ না কেউ প্রস্তুত থাকেন। তবে অভিজ্ঞরা বলে থাকেন মানুষের মন বোঝার জন্য লোকাল ট্রেন অব্যর্থ। গ্রাম বাংলার মন বুঝতে আমাদের প্রতিনিধি লোকাল ট্রেনে যাত্রা করার সময় নিজের কানকে রেখেছিলেন খাড়া, আর ধরা পড়ল নানান রাজনৈতিক মতামত।
advertisement
কেউ চাইছেন বর্তমান সরকারই থাকুক। আবার কেউ বলছেন পরিবর্তন প্রয়োজন। কিছু জন আবার পঞ্চায়েত ভোটের কথা শুনেই এমন কিছু মন্তব্য করলেন যা এখানে ছাপার যোগ্য নয়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার উঠে এল, ভোটে যেই জিতুক বা হারুক বাংলার মানুষ চাইছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
আরও পড়ুন: সেতুর দাবিতে জাতীয় সড়ক আটকে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী লোকাল ট্রেনে মূল যে মতামতগুলি ধরা পড়ল আমাদের নজরে তা পর পর সাজিয়ে দিলে অনেকটা এইরকম দাঁড়াবে-
ক) প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জন সন্দিহান কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া আদৌ ভোট করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে।
খ) প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৫ জন বলছেন পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে পরিবর্তন ঘটে রাম না বাম, কে এলে ভালো হবে তা নিয়ে আবার পরিবর্তনকামীদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন আছে। তবে অনেকের মতে পরিবর্তন প্রয়োজন, কিন্তু মানুষ সাহস করে সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারছে না।
গ) প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন অন্তত কোনরকম কথাই বলতে চাইছেন না। তাঁরা সব শুনছেন, কিন্তু চুপ করে আছেন।
ঘ) হুগলির ভোট ময়দানে শান্তনু, কুন্তল বা নিয়োগ দুর্নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে সেই প্রশ্নে ১০ জনের মধ্যে ৬ জনেরই মত, পঞ্চায়েত ভোটে এর ভালোই প্রভাব পড়বে। যদিও বাকি ৪ জন মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু পঞ্চায়েত ভোটে কোনও কাজ করবে না। এটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
ঙ) তবে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মতভেদ থাকলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে সকলেই এককাট্টা। ১০ জনের মধ্যে ১০ জনেরই বক্তব্য, ভোট হোক শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ।
রাহী হালদার