বিপ্লবী সুনীল মুখোপাধ্যায় ছিলেন বলাগড়ের এক স্বাধীনতা সংগ্রামী। নৌ বিদ্রোহের সময় বিপ্লবী সুনীল মুখোপাধ্যায় এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময় তৎকালীন ইংরেজ সরকার নৌ বিদ্রোহের সামিল হওয়ার জন্য সুনীল মুখোপাধ্যায়কে ফাঁসি কাঠে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই বিপ্লবী স্মৃতিকে মানুষের কাজে তুলে ধরার জন্যই এই জলরক্ষা বাহিনী তৈরি এমনটাই জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ
এ বিষয়ে বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল প্রতাপ ব্যানার্জি তিনি জানান, বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জল সংকটে ভুগছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারনে জলস্তর নামতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশেরও বিভিন্ন জায়গায় জলের কারণে হাহাকার দেখা যাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম জল সম্পর্কে যদি সচেতন না হয় তাহলে আগামী দিনে ঘোর বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে।
সেই কথা কে মাথায় রেখেই বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এই জল রক্ষা বাহিনী গঠন করা হয়েছে। যাদের কাজ কলেজের কোথাও যেন জল অপচয় না হয় সেই দিকে নজর রাখা। ঠিক তেমনি কলেজের আশেপাশের কোন জলাশয় যদি মানুষরা নোংরা করতে থাকে তাহলে মানুষদেরকে গিয়ে বোঝানো। জল সংরক্ষণ কিভাবে করা যায় সেই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
আরও পড়ুন ঃ
বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রাথমিকভাবে কুড়ি জনকে দিয়ে এই জল রক্ষা কমিটি শুরু হলেও আগামী দিনের লক্ষ্য কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এই জল রক্ষা কমিটির আওতায় নিয়ে আসা। কারণ একজন জল রক্ষা বাহিনী যদি এক দিনে এক লিটার জল অপচয় হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে তাহলে কুড়িজনে কুড়ি লিটার জল একদিনে বাঁচাতে পারবে। আগামী দিনে এই মনোভাব যদি সকল মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে জল সংকটের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে মানুষ।
রাহী হালদার