স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ দিন সকাল ৭ টা নাগাদ সিঙ্গুরের রতনপুর এলাকায় চন্দনা মাইতির বাড়ির নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে আসেন দুই শ্রমিক। প্রায় দুই মাস আগে তৈরি হওয়া নতুন সেপটিক ট্যাঙ্কের একটি ঢাকনা খুলে কাঠের ভাড়া খুলতে প্রথমে ভিতরে নামে এক শ্রমিক।
সেই শ্রমিকের কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকিতে প্রচুর লোক জমা হয়। তখন দ্বিতীয় শ্রমিকটি ও নিচে নামে। কিন্তু ভিতরে দু জনেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশকে। চাঁপদানি থেকে একটি দমকলের গাড়ি এসে পৌঁছায়। দমকল কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে দুটি শ্রমিককে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় দুই শ্রমিককে।
advertisement
চন্দনা মাইতি জানান, ‘‘দু মাস আগে এটি তৈরি হয়েছে, আজকে এনারা এসেছিলেন ভেতরে কাঠের পাটা খুলতে। কিন্তু একজন যখন ভেতরে নেমে পড়ে যায় তখন উপরে থাকা অন্য শ্রমিক চেঁচামেচি করতে থাকলে আমি এবং অন্যরা ছুটে আসি। তারপরে অন্য শ্রমিক নিচে নামেন কিন্তু আর ওঠেননি।’’
আরও পড়ুন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ পরিবার, পাশে দাঁড়াল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
চাপঁদানি দমকল বিভাগের ওসি বলেন, ‘‘একটি সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুজন অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে খবর পাওয়া পরেই ছুটে এসে দুজনকে উদ্ধার করি। সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে সম্ভবত ভিতরে মিথেন বা অন্যান্য গ্যাস তৈরি হয়েছিল, সেই কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
রাহী হালদার