মারামারির ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যালমিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় এক মহিলা কাটারি হাতে দৌড়ে যাচ্ছে মারতে। তার সঙ্গে থাকা এক পুরুষের হাতে রয়েছে বাঁশ। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে মহিলা বলছেন ছেলেটিকে খুন করে তারা দু'জন জেল খাটতেও রাজি। তারপরেই শুরু হয় এলোপাথাড়ি বেধড়ক মারধর। জানা যায় ওই মহিলা এবং ওই পুরুষ ছিলেন মেয়েটির মা ও বাবা।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়া কালিতলার বাসিন্দা রোহিত রামের সঙ্গে বছর দুয়েক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ঝিঙে পাড়ার এক নাবালিকার। রহিত ঝিঙেপাড়ায় একটি মুদিখানা দোকানে কাজ করত, সেখানেই প্রেম। রোহিত যখন প্রেমের সম্পকে লিপ্ত হয় তখন তার বয়স ছিল ১৮ ও নাবালিকার বয়স ১৫। বিয়ে করার জন্য তিনবার মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল রোহিত। যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা তাই পুলিশের সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয় দুই জনকেই। শেষবার সেপ্টেম্বর মাসে বিহারের সমস্তিপুরে নাবালিকাকে নিয়ে পালায় রোহিত। ফিরিয়ে আনার পর হোমে ঠাঁই হয় নাবালিকার। রোহিতকে পাড়ায় ঢুকতে বারণ করে নাবালিকার মা বাবা। শুক্রবার ঝিঙেপাড়ায় একটি আটাকলে কাজ করছিল রোহিত। রাত নটা নাগাদ নাবালিকার মা বাবা কাটারি বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তার উপর। এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। স্থানীয়রা আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। পরে রাত বারোটা নাগাদ রাস্তার ধার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোহিতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: দশমীতেই বিসর্জন জ্যান্ত দুর্গার! ভাসানে গিয়ে নিখোঁজ নাবালিকা! চারদিন পর দেহ ভাসল জলে!
মৃতের মা ফুলকুমারী রাম বলেন,তাদের মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাই ছেলেটাকে মেরে ফেলল। আমরা বারণ করতাম ছেলেকে মেলামেশা করতে ও শুনত না। ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তীর দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশিরা। অভিযুক্ত বাবা মার খোঁজে তাদের বাড়িতে যায় পুলিশ।সকাল থেকে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন তারা।
রাহী হালদার