হুগলির ত্রিবেনীর বাসিন্দা অত্রি। বর্তমানে তিনি কুন্তিঘাটের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার পদে কর্মরত। অত্রি বরাবরই তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়েও লড়াই করে চলেছেন। ছোটদের পড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকারের লড়াইয়ের অগ্রণী ভূমিকায় থেকেছেন অত্রি। শনিবার তার লড়াই এবং সামাজিক কাজের সম্মান প্রদানের জন্য হুগলি জেলা আদালতে বিচারকের সম্মানিও পদে বসানো হয় তাকে। পাঁচটি বেঞ্চে সাড়ে ছয় হাজার মামলার নিস্পত্তি হবে ওই দিন। ফৌজদারী থেকে শুরু করে চেক বাউন্স, গাড়ি দুর্ঘটনা, শ্রম বিবাদ, বিদ্যুৎ বিল, বৈবাহিক মামলা, ভূমি অধিগ্রহন, রাজস্ব আদায় থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক বিষয়ক মামলার নিষ্পত্তি হবে এই লোক আদালতে। বেঞ্চে বিচারক হিসাবে ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি,আইনজীবী ও সমাজকর্মীরা।
advertisement
উপস্থিত ছিলেন রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি এস সিভাগনামান, হুগলি জেলা জজ অভিজিৎ সোম সহ প্রমূখ। এই বিষয়ে অত্রি জানান, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে বরাবরই মানুষ একটু জাজমেন্টাল। তবে আজ তার কাজের মধ্যে থেকে মেন্টালটিকে বাদ দিয়ে জাজমেন্ট দেওয়াটা থাকবে। জীবনে প্রথমবার বিচারকের পদে বসেছেন তিনি। স্টেট ও ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি কে তিনি সাধুবাদ জানান তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে ভাবার জন্য।
রাহী হালদার