সেই মানিকরাম বর্ধমানের মহারাজের কাছ থেকে রাজা উপাধি লাভ করেছিলেন। এমনকি বর্ধমানের মহারাজা তাকে তার সত্যতা ও নিষ্ঠার পরিচয় পেয়ে প্রচুর সম্পত্তি দান করেছিলেন। এই রাজপ্রাসাদেই দেবী দুর্গার আরাধনের জন্য দুর্গা দালান গড়ে উঠে।শুরু হয় দেবীর আরাধনা,যা বর্তমান প্রজন্ম নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছে।
উল্লেখ্য, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নাকি মনিকরাম বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপূজায় আসতেন। তিনি অবশ্য তখন অনেক ছোট।সকলের আদরে গদাই। মানিকরাজার আম বাগানে খেলে বেড়াতেন। রামকৃষ্ণদেবের স্মৃতি বিজড়িত এই মানিকরাজার দুর্গাপূজো আজও মানিক বংশধরের সমানভাবে করে আসছে। তখন মানিক রাজার অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল ছিলেন গরীব হয় সংসার চালাতে পুরনো কলকাতায় বেতনভোগী হিসেবে কাজ করতেন।
advertisement
আরও পড়ুন : West Bengal Weather Update: উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ! রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির বিশাল আপডেট আবহাওয়া দফতরের
কথিত আছে একদিন তিনি মায়ের স্বপ্ন দেখতে পান মা তাকে বলেছিলেন তুই আমাকে নিয়ে চল তোদের বাড়িতে আমি যাব। এরপরই নাকি কাজের জায়গায় ছুটি নিয়ে চলে আসেন তারপরে দুর্গাপূজার প্রচলন করেন। তার পরেই তিনি হয়ে উঠেন মানিক রাজা গড়ে উঠে তার সাম্রাজ্য।
আরও পড়ুন : West Bengal Weather Update: উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ! রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির বিশাল আপডেট আবহাওয়া দফতরের
পরিবারের বংশধর প্রভাত বন্দোপাধ্যায় জানান, স্বয়ং রামকৃষ্ণদেব আসেন তিনি এখানে খেলা করতেন। জানা গিয়েছে প্রতিপদ থেকে ঘট বসানো হয় সেই দিন থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়। কর্ম সূত্রে এই পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও পুজোর দিনগুলি সকলে এক সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করেন। সবমিলিয়ে আজও রীতি মেনে রামকৃষ্ণের পদধূলি ধন্য মানিক রাজার বর্তমান প্রজন্ম দেবী দুর্গার আরাধনা করছেন। কিন্তু প্রাসাদ চলেযাচ্ছে কালের গহ্বরে ঐতিহাসিক স্থাপ্তত্য রক্ষণাবেক্ষণে কোন উদ্যোগ নেই।
Suvojit Ghosh