তাদের এই কাজ যেমন একদিকে তাদের রুটি রোজগার করতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনই জলে ডুবে গিয়ে অপচয় হয়ে যাওয়া থেকে ভারতীয় মুদ্রা গুলিকে বাঁচাতে সাহায্য করেন।
আরও পড়ুন – World Cup 2023: সেরার মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে সেরা, বিশ্বকাপের টিম ইলেভেন তৈরি শুরু
প্রতিদিন বহু সংখ্যক মানুষ গঙ্গার মধ্যে পয়সা ফেলেন। এক টাকা, দু টাকা কয়েন গঙ্গা প্রণাম করতে এসে অনেকেই গঙ্গায় ছুঁড়ে দিয়ে যান। যে পয়সাগুলি গঙ্গায় ফেলা হচ্ছে সেগুলির সলিল সমাধি ঘটে। তবে বর্তমানে রোজগারের তাগিদে কিছু মানুষ চুম্বক নিয়ে গঙ্গায় নিজেদের কিসমত চমকানোর চেষ্টা করে। পুণ্যার্থীদের গঙ্গায় ফেলে দেওয়া দু টাকা, এক টাকার কয়েন চুম্বকে আটকে উঠে আসে। সেই পয়সাগুলিকে আবারও বাজারজাত করে একদিকে যেমন নিজেদের রোজগার করেন অন্যদিকে জলে ডুবে কয়েনকে বাজারে এনে অর্থনীতির জন্যেও ভাল কাজ করেন৷
advertisement
আরও পড়ুন – Kolkata Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নাকি ঘূর্ণাবর্ত! কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া? দেখুন ভিডিও
গঙ্গার পার বরাবর এরকম বহু সংখ্যক মানুষ দেখা যায় যারা বেকারত্ব দূর করার জন্য এই ধরণের কাজ করে থাকেন। সেই রকমই একজন মানুষ হলেন সুজয়। হুগলির রিষড়া ফেরিঘাট সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট গুলিতে চুম্বক ফেলে পয়সা খোঁজার কাজ করেন। সারাদিনে চুম্বক দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করলে ৫০-৬০ টাকা রোজগার ঠিকই হয়েই যায়। তবে বিশেষ পূজা পার্বণের সময় তার পরিমাণ বেড়ে যায়।
সুজয় জানিয়েছে, তার জুট মিলের কাজ বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে তিনি চুম্বক দিয়ে গঙ্গায় পয়সা খোঁজার কাজ করেন। পূজা-পার্বণ বা দশহারা দিনে রোজগার বেশি হয়। তখন কোন কোন সময় এক দেড়শ টাকাও রোজগার হয়ে যায় তার গঙ্গা থেকে পয়সা খুঁজেই।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, তার এই কাজ যথেষ্ট সাধুবাদ যোগ্য। কারণ একটু পয়সা তৈরি করতে দেশের সরকারের খরচ হয়। মানুষজন গঙ্গা প্রণাম করতে এসে সেই পয়সা গঙ্গায় ফেলে দেন। যদি না সুজয়ের মতন মানুষরা চুম্বক দিয়েছে পয়সা তুলে আনত তাহলে সেগুলি গঙ্গাতেই তলিয়ে যেত এবং অপচয় হতো। সেখান থেকে পয়সা তুলে নিয়ে আসা এবং সেগুলিকে আবারও বাজারজাত করা এগুলি অর্থনীতির অপচয় হওয়ার থেকে অনেক ভাল।
Rahi Halder