শ্রীরামপুরের সুপ্রাচীন মাহেশের রথ হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। এবার ডাক বিভাগের বিশেষ ডাকখামে থাকবে মহেশ জগন্নাথ মন্দির ও রথের ছবি। জগন্নাথ মন্দির কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য ডাক বিভাগের এই প্রয়াস। পুরীর পরে ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা বলা হয় মাহেশকে। ১৩৯৬ সালে যার সূচনা। ভারতীয় ডাকঘরের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল এই বিশেষ ডাকখাম প্রকাশের ছাড়পত্র দেয়। শ্রীরামপুর ডাকঘর শ্রীরামপুর পুরসভার সাহায্যে ডাকখাম প্রকাশের ব্যবস্থা করে।
advertisement
আরও পড়ুন: গুজরাতে বিজেপির প্রচারে বিদেশিরা! 'প্রমাণ' দিয়ে কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
শ্রীরামপুর ডাকঘরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তপন চক্রবর্তী জানান, ডাক বিভাগ বিভিন্ন বিষয়,দ্রষ্টব্য স্থানের উপর ডাক টিকিট তৈরী করে।মাহেশের রথ এবং জগন্নাথ মন্দির বহু প্রাচীন। অথচ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সেরকম ভাবে মানুষ জানে না। ডাক বিভাগের উদ্দেশ্য হল দেশ এবং বিদেশে মাহেশকে আরও পরিচিত করানো। অনেকে আছেন যারা ডাক টিকিট সংগ্রহ করেন। তারা এটা সংগ্রহ করবেন আবার তার পরিচিতদের মধ্যেও জানাবেন। এভাবেই প্রচার হবে।
আরও পড়ুন: ঝগড়া লেগেছিল সংসার খরচ নিয়ে, রাগেই শ্রদ্ধাকে টুকরো টুকরো করে আফতাব: পুলিশ
মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানান, মাহেশ মন্দির, জগন্নাথ দেব ও রথের স্পেশাল কভার পোস্টকার্ড ও পার্মানেন্ট পিকটোরিয়াল স্টাম্প উদ্বোধন হল এটা খুবই গর্বের। এদিন মাহেশ মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন,মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী, শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা, চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন। শ্রীরামপুর চেয়ারম্যান বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় মাহেশ হেরিটেজ হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে।আমরা চাই গোটা বিশ্বের মানুষ জানুক মাহেশ সম্পর্কে। আরও বেশি করে লোক আসুক প্রচার হোক ঐতিহাসিক মাহেশের।
রাহী হালদার