রথের দিন রীতি মেনে জগন্নাথ মন্দিরের দালানে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রা।তার আগে দুদিন ধরে চলে নবযৌবন উৎসব।প্রথা অনুযায়ী স্নান যাত্রার পর মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে ওই সময় জগন্নাথদেবের জ্বর আসে।কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারার পর হয় নবযৌবন।রাজবেশে সাজানো হয় পরানো রুপোর হাত।
রথের দিন ভোরে ভোগ গ্রহনের পর ভক্তদের সামনে আসেন জগন্নাথ।সারাদিন ধরে চলে পুজো পাঠ। নারায়ণ যেহেতু কলিকালের জগন্নাথ সেই কারনে নারায়ণ শিলাকে প্রথমে রথে চড়ানো হয়।তারপর সুভদ্রা,বলভদ্র ও জগন্নাথ। আনুমানিক দুপুর দুটো নাগাদ হয় রথের রশিতে টান।মাহেশের রথ ম্যানিলা দড়ি দিয়ে টানা হয়। প্রথা অনুযায়ী তোপধ্বনী দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রা।
advertisement
এই রথ ৫০ ফুট উচ্চতার,লোহার বারোটি চাকা। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা মাহেশের রথযাত্রা।কলকাতার শ্যামবাজারের বসু পরিবার রথ তৈরী করে দিয়েছিল।সেই ১২৫ টনের সেই লোহার রথ গড়ায় রাজপথে।দুবছর পরে রথের চাকা গড়ায় তাই ভক্তদের ঢল নামে মাহেশে।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মেডিকেল ক্যাম্প,এ্যাম্বুলেন্স দলকম মোতায়েন ছিল।পানিহাটীতে দূর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ পথে এবং রাস্তার পাশে ব্যারিকেড করা হয়েছিল।
কোম্পানির তৈরি লোহার রথের বয়স ১৩৭ বছর এই রথ তৈরি করে দেয় শ্যামবাজারের বোস পরিবার আগে কাঠের রথ ছিল বারবার ভেঙে যায় বলে সেটিকে লোহার রড তৈরি করে দেয় শ্যাম বাজারের বোস পরিবার । রথের সামনে দুটি তামার ঘোড়া ও একটি সারথি থাকে। রথ টানার জন্য ১২ টি লোহার চাকা লাগানো রয়েছে। রাজ্যে কিছুটা হলেও বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেদিকেও নজর ছিল জেলা প্রশাসনের। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল শ্রীরামপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আগাম সর্তকতা হিসেবে মন্দির প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছিল স্যানিটাইজার।
Rahi Haldar