আরও পড়ুন: মাত্র ৮ মিনিটেই হাওড়া থেকে ধর্মতলা! দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশনে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ, ঝলক দেখুন..
সূত্রের খবর, শনিবার স্কুলের সহ শিক্ষিকা শবরী সান্যাল শনিবার স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। ওই শিক্ষিকা আজ স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করতে গিয়ে দেখেন শনিবার তার নামের জায়গায় লাল কালি দেওয়া আছে। কেন এমন করেছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা লোপামূদ্রা সাঁতরা ওই সহ শিক্ষিকাকে লিখিত আবেদন করতে বলেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হন স্কুলের বাকি শিক্ষিকারা। স্কুল ছুটির পরে শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে রাখেন। তাঁকে স্কুল থেকে বেরোতে বাধা দেন।
advertisement
স্কুলের সহ শিক্ষিকাদের দাবি, তাঁদের উপর প্রধান শিক্ষিকা মানসিক নির্যাতন করছেন। যে কারনে তাঁরা ঠিক মত পড়াতে পারছেন না। ছুটি নিতে গেলে বলেন, ছুটি নেওয়া যাবে না।
প্রধান শিক্ষিকা পাল্টা অভিযোগ করেন সহ শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। তাঁরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মানতে চান না, সময় মতো আসেন না, যখন-তখন ছুটি নেন বলে হুগলির এই গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা। শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, শবরী ম্যাডাম স্কুলে এসেছিলেন বলছেন, কিন্তু সই করেননি। এদিকে আমি ওনাকে দেখিনি। স্কুলে এসে সই না করে চলে গেলেন, তাই হাজরার খাতায় লাল দাগ দিয়েছি। কে এল তা সব সনয় নজর রাখা সম্ভব নয়। শিক্ষিকারা শৃঙ্খলা না মানলে কী করে ছাত্রীদের পড়াবেন। আমি চাই স্কুল একটা নিয়মে চলুক।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা চাইছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে। যে কারনে পুলিশ ডাকিনি। আর পুলিশ ডেকে এই ধরনের সমস্যা মেটে না।