ওই অসহায় মহিলার চাষির নাম বিউটি বেগম। বাড়ি গোঘাটের আনুড় এলাকায়। তাঁর অভিযোগ, তিন দিন ধরে সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে ঘুরছেন, কিন্তু ধান বিক্রির জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে।
শুক্রবার বিউটি বেগম নামে ওই মহিলা চাষি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "তিনদিন ধরে একইভাবে আমি ঘুরছি, তবু সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু আজ যখন আমি এলাম শুধু ব্যাঙ্কের বইয়ে পাসপোর্ট ছবি লাগানো ছিল না বলে আমার নাম তুলতে চাইলেন না দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। তাঁর অভিযোগ, ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিকের ব্যবহার ভালো নয়, কথায় কথায় মেজাজ দেখাচ্ছিলেন। এরপর যা করার তাঁকে অনলাইনে করতে হবে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন বলে দাবি করেন বিউটি বেগম।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তা বেহাল, তাই গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুল্যান্স! ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা
সমস্ত বিষয় নিয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই সরকারি আধিকারিক বলেন, "সমস্তটাই মিথ্যে কথা। এটা অফিসের জায়গা। তাই আমি কাউকে বেরিয়ে যেতে বলিনি। যখন ওই ভদ্রমহিলা প্রথম দিন রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য এসেছিলেন, তখন অফিসের নির্দেশ মত অরজিনাল ডকুমেন্ট চাইলে উনি বলেন, এগুলো দিয়েই করতে হবে। কিন্তু তা না করার জন্যই অভিযোগ উঠেছে।"
এদিকে স্থানীয়রা ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও, পরে তাঁরাও জানান গোঘাটের এই ধান ক্রয় কেন্দ্রে এসে বারবার হেনস্থার মুখে পড়তে হয়।
শুভজিৎ ঘোষ