স্থানীয় সূত্রে খবর, মহালয়ার দিন সকাল থেকে হুগলি জেলার গঙ্গার ঘাট গুলোতে তর্পণের ভীর লক্ষ করা যায়। উত্তরপাড়া হিন্দমোটর অঞ্চলেও প্রতিটি ঘাটে তর্পণকরতে জরো হন বহু মানুষ। হিন্দমোটর বিবি স্ট্রিট ঘাটে তর্পণের স্নান করতে নেমে গঙ্গার বানে তলিয়ে যান কয়েকজন। ঘাটে উপস্থিতরা জানান পাঁচ জন বানের জলে ভেসে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ বান আসার সময় জানা থাকলেও পুলিশ সতর্ক করেনি। সব সময় বান যখন কাছে এসে যায় তখন বাঁশি বাজানো হয়। ফলে জলে স্নান করতে নামা লোকজন উঠে আসেন, এদিন এই সর্তকীকরণ হয় নি ফলে নদীতে থাকা পুণ্যার্থীরা ভেসে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনেই এ বার ফ্রান্সের আইডিয়াল প্যালেস! কোথায় গেলে দেখতে পাবেন, জেনে নিন
স্বপন বাহাদূর নামে হিন্দমোটের এক বাসিন্দা তর্পণেনেমে ভেসে যাচ্ছিলেন। কোনও রকমে সাঁতরে তিনি তার প্রাণ বাঁচান। স্বপন বলেন, তারা স্নান করছিলেন হঠাৎই বান এসে যায়। জলের ঘূর্নিতে পরে যান তিনি। কোনও রকমে সাঁতরে তার প্রাণ বাঁচে।স্থানীয় বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ,প্রশাসন সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আগে থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়নি।নিখোঁজ হওয়ার পরও তাদের তল্লাশিতে অনেক দেরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যই সম্পদ মনে করিয়ে দিচ্ছে আরামবাগের দৌলতপুরের মন্ডপ সজ্জা
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, আজকে একটা শুভদিনে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। কার দোষ কার গুণ সেটা এখন বিচার করার সময় নয়।যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।প্রশাসনের যেমন দায়িত্ব থাকে যারা গঙ্গায় নেমে স্নান করেন তাদেরও একটা দায়িত্ব থেকে যায়।
কতজন তলিয়ে গেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ বলছেন দুজন কেউ বলছেন তিন জন কেউ বলছেন পাঁচজন। সৌম্য মজুমদার, সৌমিক দত্ত, গৌরাঙ্গ মণ্ডল এই তিনজনের নাম জানা গেছে এরা সকলেরই বাড়ি হিন্দমোটরে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, দুজন নিখোঁজ আছেন।বিপর্যয় মোকাবিলা বহিনী নামানো হয়েছেতল্লাশি চলছে। পাশাপাশি ঘাট গুলোতে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে।
রাহী হালদার