আরও পড়ুন: কম বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা বাড়ছে, ঠেকাতে সক্রিয় প্রশাসন
গত ১১ সেপ্টেম্বর চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসার জন্য আসেন বছর ৪৯-এর মালতী মল্লিক। তাঁর ছেলেই একটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন। সেটিই ভাইরাল হয়েছে। ওই ভাইরাল ভিডিওতে এক যুবককে বলতে দেখা যাচ্ছে, “হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় ওষুধ। আমার মা পড়াশোনা জানে না। মা আমাকে জিজ্ঞেস করে কখন ওষুধ খাব বাবু? দেখতে গিয়ে দেখা যায় তিন মাস আগে ওষুধটা এক্সপায়ার হয়ে গেছে”। মালতী মল্লিকের ছেলে ওই ভিডিওতেই প্রশ্ন তোলেন, একজন রোগীকে কীভাবে সরকারি হাসপাতাল থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়া হল? বিষয়টি তিনি হাসপাতাল সুপারকে জানাবেন বলেও শোনা যায় ভিডিওতে।
advertisement
এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা চন্দননগর শহরজুড়ে। হাসপাতালের দেওয়া প্রেসক্রিপশন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল পেজকে ট্যাগ করে পোস্ট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতাল সুপার ফার্মাসিস্টকে শোকজ করেছেন।কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে এই নিয়ে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি তিনমাস অন্তর হাসপাতালের ওষুধের স্টকের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হওয়ার কথা। তারপরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে যে ফার্মাসিস্ট চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ওষুধের হিসাব রাখতেন তাঁকে শোকজ করা হয়।
রাহী হালদার