টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেবে ১৪৭ রানের টার্গেট দেয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের একাদশ। বাড়ো ওভারের ক্রিকেট ম্যাচে টানটান উত্তেজনা ছিল এই দিন। সাংবাদিকদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রাহী হালদার, সুজিত গৌর ও সনত মাঝি। সাংবাদিক একাদশের মোট রানের সংখ্যা ৭৫। এক ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে সাংবাদিক একাদশের ব্যাটিং ফ্রন্ট কে গুঁড়িয়ে দেন ওসি চন্ডীতলা সুদীপ্ত সাধুখা। এই বিষয়ে গ্রামীণ পুলিশের সুপার অমনদীপ জানান, করোনার জন্য বিগত দুই বছর সম্প্রীতিমূলক এই প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কোন্নগরে বার মন্দির ঘাটে বেনারস হরিদ্বার-এর মতো গঙ্গা আরতি শুরু
করোনার প্রকোপ কমতেই এই বছর আবার ও এই খেলা করা সম্ভব হয়েছে। ম্যাচে কে জিতেছে বা কে হেরেছে সেটা বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হল সবাই মিলে একসঙ্গে আনন্দ করা হয়েছে মাঠে নেমে। তিনি আশাবাদী আগামীবার সাংবাদিক একাদশ নিশ্চয়ই বিজয়ী হবে। জেলার সাংবাদিক রানা কর্মকার জানান, সম্প্রীতিমূলক এই খেলায় অংশগ্রহণ করে তারা খুবই খুশি। ২৪ ঘন্টা কাজের মধ্যে একটু অন্য রকমের সময় সম্প্রীতিমূলক খেলা। এই ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মেলবন্ধন ঘটে।
আরও পড়ুনঃ ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃদ্ধের নিথর দেহ মিলল গঙ্গায়
সাংবাদিক একাদশের ওই দিনের খেলার সেরা সাংবাদিক বিধান সরকার জানান, আজকের খেলায় প্রমাণিত হল সাংবাদিক বন্ধুরা শারীরিক ফিটনেস এর দিক থেকে একটু পিছিয়ে রয়েছে। খেলায় হারজিত সেটা বড় বিষয় নয়। প্রত্যেক খেলাতেই একদল হারবে এবং একদল জিতবে। তবে মাঠে আসা খেলতে নামা, এটি একটি বড় আনন্দের। খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে যেমন শরীর ভালো থাকে তেমনি মনও ভালো হয়। পুলিশ এবং সাংবাদিকদের মধ্যে বরাবরেরই একটি ঠান্ডা লড়াই চলে। তবে সে লড়াই কোনদিন এই শত্রুতার দিকে যায়নি। এই ক্রিকেট ম্যাচ পুলিশ এবং সাংবাদিকদের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে।
Rahi Haldar