মীনাক্ষীকে দেখা যায় তার কাছে মেয়ের মতন আলিঙ্গন করতে। কিন্তু কে এই বৃদ্ধা মহিলা যাঁকে মীনাক্ষী ও মায়ের মতন সম্মান দিচ্ছেন। সেই খোঁজ করতেই লোকাল ১৮ পৌঁছেছিল হুগলির বাঁশবেড়িয়ার সেই ঘটনাস্থলে। সেখানে গিয়ে খুঁজেও পাওয়া যায় সেই বৃদ্ধা মহিলাকে। বৃদ্ধা ওই মহিলার নাম স্বপ্না ঘোষ। বছর একাত্তরের স্বপ্না দেবীর বাড়ি বাঁশবেড়িয়ার যুব সংঘ এলাকায়।
advertisement
বাড়িতে রয়েছে তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন এক দিদি ও কথা না বলতে পারা এক ভাই। কষ্টের সংসারে সবকিছুকে আপোষ করে নিয়েছিলেন কিন্তু আপোষ করেননি শুধু অন্যায়ের সঙ্গে। যেখানেই অন্যায় দেখেছেন শৈশব কাল থেকে সেখানে ছুটে গিয়েছেন স্বপ্না দি। ইনসাফ যাত্রার দিনে তার আবেগ দেখা যায় বাম ছাত্র যুবদের দেখে।
স্বপ্না ঘোষ তিনি জানান, শৈশব থেকেই তিনি বামপন্থা কে নিজের আদর্শ রূপে বেছে নিয়েছেন। ছোট থেকেই কোন অন্যায় দেখলে তার প্রতিবাদ করেছেন তিনি। তার প্রতিবাদী মনোভাবের জন্যেই তাঁর বৈবাহিক জীবন ভেঙেছে। তবুও তিনি প্রতিবাদ বন্ধ করেননি। যেখানেই অন্যায় দেখেছেন সেখানে আওয়াজ তুলেছেন।
স্বপ্না দেবী ভাই সে কথা বলতে পারেন না। তবে তাঁর গোটা পরিবার বামপন্থী। ৭১ বছর বয়সে দাড়িয়েও তিনি চেয়েছিলেন ইনসাফ যাত্রার অংশ হতে। তবে বার্ধক্য জনিত রোগের কারণে ও হাঁটতে না পারার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েই অনুপ্রাণিত করেছেন বাম ছাত্র যুবদের।
আরও পড়ুন, ডিসেম্বরের শেষে জাঁকিয়ে শীত নেই, জারি বৃষ্টির পূর্বাভাস! কতদিন থাকবে এমন আবহাওয়া
স্বপ্নাদির কথায়, তাঁর আদর্শ তাঁর নীতি তিনি যে ভাবধারায় বিশ্বাসী তা অবশ্যই সফল হবে একদিন। বর্তমান সময়ে তাকে বিচলিত করে তোলে বর্তমান দেশ কাল রাজ্য রাজনীতির সমস্ত বিষয়। নিজে কোনদিনও মা হয়ে উঠতে পারেননি। তবে বহু বামপন্থী মনোভাবাপন্ন যুবক যুবতীদের কাছে স্বপ্নাদি মায়ের মতনই।
স্বপ্না দেবীর দাবি, “দৃঢ় বিশ্বাস বামপন্থায় আবারও একদিন সারা দেবে সমস্ত রাজ্যের মানুষ। বাম ছাত্র যুবদের যে দাবি নিয়ে তাঁরা রাস্তায় নেমেছে সেই দাবি রাজনীতির ঊর্ধ্বে। চাকরির দাবি জীবনের দাবি শ্রমিক, কৃষক, খেটে খাওয়া সকল মানুষের সকল দাবি একদিন পূরণ হবেই।”
রাহী হালদার