হাতে চাঁদ পেয়েছে ভারত। চন্দ্রযান এর যাত্রাপথ এবং চাঁদের পৃষ্ঠে নামার পর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের কর্মকান্ডের পিছনে যাদের মস্তিষ্ক কাজ করে করেছে তাদের একজন অমরনাথ। অনেকে বাঙালীর মত চন্দ্রযানের সাফল্যের শরিক তিনি।
তাঁর বাড়ি চুঁচুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ময়ূরপঙ্খী ঘাটে এলাকায়। পাড়ায় অমরনাথকে সবাই বুবুন বলেই ডাকে। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের তার পড়াশোনা। উচ্চ মাধ্যমিকের পর জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হন। তারপর ইসরোতে যোগ দেন।
advertisement
অমরনাথের প্রতিবেশি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী।তিনি বলেন, “বুবুনের জন্য আমরা গর্বিত।গোটা দেশবাসীর সঙ্গে চন্দ্রযানের সাফল্যের ভাগীদার আমাদের পাড়া”৷ অমরনাথের কাছে এক সময় পড়ছেন সোমনাথ ভঞ্জ।তিনি বলেন, “বুবুনদা তখন ১২ ক্লাসে পরীক্ষা দেবে আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি।আমি অংকে একটু কাঁচা ছিলাম দাদার কাছে পড়েই অংক শিখেছি।খুব ভাল লাগছে বুবুন দা এবং ইসরোর বিজ্ঞানীরা যা করে দেখিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: রাজার কছে অনুমতি নিয়ে পুকুরে বিলীন হয়েছিলেন দেবী, এই মন্দিরের কাহিনি জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
অমরনাথের বাড়িতে বর্তমানে একজন কেয়ারটেকার থাকেন। তার নাম অভিজিৎ দাস। তিনি জানান, “অমরনাথের বাবা নেই মা ছেলের কাছেই থাকেন। মাঝেমধ্যে অমরনাথের সঙ্গে ফোনে কথা হয়।গতকালও ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন।আগামী নভেম্বর মাসে তার বাড়ি ফেরার কথা।”
রাহী হালদার