তবে অনন্যার দাদাও কম যায় না৷ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অমৃত শর্মা অনায়াসে দু'পায়ে শতাধিক বার বল নাচাতে পারে। তার প্রিয় ফুটবলার রবার্তো কার্লোসের অনুকরণে শট মারতেও শিখেছে সে। মাঝ মাঠ থেকে ইন সুইং করিয়ে গোলের জালে অনায়াসে বল জড়িয়ে দিতে পারে অমৃত। দু’পায়েই জোরালো শট আছে তার৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দেখে পঞ্জাবের মিনার্ভা ফুটবল অ্যাকাডেমি ইতিমধ্যেই অমৃতকে ডেকেছিল। মাস চারেক সেখানে প্রশিক্ষণও নেয় সে। কিন্তু কোভিড আবহে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। তারপর আর সেখানে ফেরা হয়নি তার৷
advertisement
অমৃত ও অনন্যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তার বাবা-মা৷ প্রতিদিন বাবা অনিল শর্মা নিজের বাইসাইকেলে করে ছেলে-মেয়েকে মাঠে নিয়ে যান৷ তিনি নিজেই ছেলে-মেয়েকে ফুটবলের প্রশিক্ষণ দেন রিষড়ার লেনিন মাঠে। সেখানে ক্ষুদে ফুটবলারদের খেলা দেখতে প্রতিদিন জড়ো হন বহু মানুষ৷
পেশায় ব্যবসায়ী অনিলবাবু স্থানীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা থেকে বহু পুরস্কার ঘরে তুলেছেন। ফুটবলও খুব খারাপ খেলতেন না বলে জানালেন তিনি৷ অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না বলে খেলাধুলো নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারেননি অনিলবাবু৷ নিজে না পারলেও ছোট ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন দেখেন তিনি৷ আশা, একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বমঞ্চে দাপিয়ে বেড়াবে তার ছেলে-মেয়ে৷
Rahi Haldar