সদ্য পদ হারানো বিজেপি নেতারা দলেরই সাংসদ ও জেলা সভাপতির উপর এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাঁদের দাবি, যারা পঞ্চায়েত ভোটে দলের হয়ে কাজ করেনি তাদেরকেই মণ্ডল সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। হুগলি সাংগঠনিক জেলর ৩০ টি মণ্ডলের মধ্যে ২২ টিতেই সভাপতি বদল করা হয়েছে। এই বিষয়ে নিচু তলায় কোনও আলোচনা না করার অভিযোগ উঠেছে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষার শুরুতেই ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি
পদ যেতেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ধনিয়াখালি মণ্ডলের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি তনুশ্রী দাস বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা পড়ে পড়ে মার খেলাম। জেলা সভাপতিকে পাশে পাইনি। তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই আমরা করছি আর পদ দেওয়া হচ্ছে অন্যদের। জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের বিরুদ্ধে তৃনমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলার অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা টাকা তুলতে পারবে তাঁদেরকেই মণ্ডল সভাপতি পদে বসানো হয়েছে।
দলীয় নেতৃত্বের একাংশের এই বিক্ষোভে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। ব্যাপারটা হালকা করতে গিয়ে জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘আমার সময়ই ওদের মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছিল। সবাই বিজেপির সৈনিক। ওদের জেলায় পদ দেওয়া হয়েছে, আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেটা হয়তো বুঝতে পারছে না। কীসের সেটিং, কার সঙ্গে সেটিং আমি জানি না। দুঃখে, অভিমানে হয়তো ওরা এসব বলেছে। পাশাপাশি মণ্ডল সভাপতি বদলে ফেলার দায় একা নিজের ঘরে নিতে রাজি হননি তুষারবাবু। তাঁর দাবি, জেলার চারজন সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদনে এই রদবদল হয়েছে।
রাহী হালদার