২০১৫ সালে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ কোটা থেকে লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে অ্যাম্বুলেন্সটি কিনে দেন। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর রাজেশ সিংয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্ব। কিন্তু তারপর থেকে দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও একদিনের জন্যও সেই অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা পায়নি এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: মা ও শ্বশুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাচ্চাদের মাংস-ভাত খাওয়ালেন দম্পতি
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অটো, টোটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। প্রথমদিকে যখন অ্যাম্বুলেন্সটি এসেছিল তখন সকলেই আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু কোথায় কী! গত সাত বছরে একদিনও অ্যাম্বুলেন্সটিকে রাস্তায় চলতে দেখা যায়নি। গোটা ঘটনায় যথেষ্ট বিরক্ত প্রভাসনগরের বাসিন্দারা।
রোগীদের পরিষেবা না দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ফেলে রাখা প্রসঙ্গে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জয়রাজ ঝাঁ বলেন, ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে হেরে যান রাজেশ সিং। তাঁর হাতেই অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনার দায়িত্বভার সঁপে ছিলেন সাংসদ। বর্তমান কাউন্সিলরের দাবি, পুরো নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণেই অ্যাম্বুলেন্সটি কাউকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না প্রাক্তন কাউন্সিলর।
যদিও রাজেশ সিংকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এর মধ্যে রাজনীতির কিছু নেই। কেন অ্যাম্বুলেন্সটি চলছে না তা তিনি জানেন না। যদিও ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি, রাজনীতির কারণেই সাংসদ কোটার টাকায় কেনা অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে, অথচ পরিষেবা পাচ্ছে না কেউ।
রাহী হালদার