স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে শনাক্তকরণ করেন। মৃত্যুর খবর আসামাত্রই শোকের ছায়া পরিবার পরিজনদের মধ্যে। 'খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দাদুকে'। ১৯ তারিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদুর একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করেন তার নাতনি ইশা ঘোষ। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই পোস্টটি। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। রেল স্টেশন জেটিঘাট মন্দির মসজিদ সব জায়গায় খুঁজে বেড়ান তারা। তখনো তারা আশায় ছিলেন দাদু ঠিক বাড়ি ফিরে আসবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এবার কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটে হরিদ্দারের মতন গঙ্গা আরতি!
বার্ধক্য জনিত কারণে স্মৃতি ভ্রম হওয়ার জন্য হয়তো হারিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু যা দাঁড়ালো তা বাস্তবে খুবই দুঃখদায়ক। পরিবার সূত্রে খবর, বছর ৮৪ বয়সি বৃদ্ধ প্রণব রায় চৌধুরী গত ১৯ তারিখ সকালে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। ঐদিন রাতেই অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন খুঁজে না পাওয়া যায় তখন নিখোঁজ ডাইরি দায়ের করা হয় উত্তরপাড়া থানায়। বাড়ির লোকেরা পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যকে খুঁজতে উদ্ধত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে হাসপাতালগুলির মধ্যে হুগলিতে হতে চলেছে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ক্লিনিক
অবশেষে মঙ্গলবার রাতে পানিহাটি পুলিশের থেকে খবর আসে গঙ্গায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহ সনাক্তকরণ করলে জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম প্রণব রায় চৌধুরী। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়া পুলিশ থানাকে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট আসলে জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃতদেহটি স্থানীয় এক জেলে দেখতে পান। দেহটি যখন উদ্ধার করা হয় সেটি জলে থাকার ফুলে ফেঁপে ওঠে। কোন্নগরের গঙ্গার বিপরীত পাড়ে পানিহাটিতে একটি ঝোপের ধারে নদীতে দেহ ভাসতে দেখা যায়।
Rahi Haldar