প্রথমবার দোকান খোলার আগে ট্রায়ালান হিসেবে সকলকে ফ্রিতেই পেঁয়াজ কচুরি খাইয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর কথায় রাজস্থানে নাকি সকাল থেকেই কচুরি দিয়েই দিনের খাবারের শুরু হয়। দোকান খুলতে না খুলতেই বাড়ে ভিড়।
আরও পড়ুনঃ খাঁটি ছানার তুলতুলে নরম ইয়া বড় রসগোল্লা, ৩ টাকার বিক্রি হচ্ছে এই শহরেই, আজই কিনে আনুন
advertisement
কচুরির বিশেষত্ব পেঁয়াজ আলুর পুর দেওয়া বড় বড় পেঁয়াজ কচুরি। যেটাকে ডাবল ফ্রাই করে পরিবেশন করা হয়। একই সঙ্গে দই, চাটনি দিয়ে পরিবেশন করলে তার স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত এসএফ রোডের 'রাজস্থানি তরকা'য় ভিড় উপচে পড়ছে।
আরও পড়ুনঃ তোলপাড় হবে আবহাওয়া, বিকেল থেকে কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টি বাংলার জেলায় জেলায়, রইল পূর্বাভাস
রাজস্থানের না গিয়েও রাজস্থানের খাবারের স্বাদে মজেছে শহরবাসী। এমনকি সকালের টিফিন হিসেবেও অনেকে এই পেঁয়াজ কচুরি নিয়ে যান দোকান থেকে। দোকানের মালিক অভিষেক পারিক জানান, লকডাউন হওয়ার আগে তিনি দোকান খুলেছিলেন। মাত্র তিন মাস দোকান করেছিলেন। তারপরই লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তিনি ফের রাজস্থানে ফিরে গিয়েছিলেন। তার পেঁয়াজ কচুরি স্বাদ শহরবাসীর এতটাই ভালো লেগেছিল যে শহর থেকে বারবার তাঁকে ফিরে এসে দোকান করতে বলা হয়। এখন রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা।
ব্যবসায়ী জানান, 'তাঁর দোকানের দিনে ৭০০-৮০০ কচুরি তিনি প্রতিদিন বিক্রি করেন। যার দাম মাত্র ২৫ টাকা। ভোজন রসিক মনোজিৎ চক্রবর্তী জানান, 'রাজস্থানের এই কচুরির স্বাদ এতটাই ভাল যে আমি টিফিনে পর্যন্ত এই কচুরি নিয়ে যাই। আর বিকেলে একটা পেঁয়াজ কচুরি আর চা না খেলে অসম্পূর্ণ লাগে, তাই মাঝে মধ্যেই এখানে এসে খেয়ে যাই।'
অনির্বাণ রায়





