গ্রামের চণ্ডীমণ্ডপে বা জমিদারবাড়ির বেলোয়াড়ি ঝাড়ের নীচে যে আসর বসত, সেরকমই পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে৷ আছেন দুই কবি এবং তাঁদের গানের সঙ্গে ‘ধুয়ো’ ধরার জন্য দলও৷ প্রথম পর্বে জমে উঠল সেরার লড়াইয়ে উত্তমকুমার বনাম সৌমিত্র তরজা৷ উত্তমকুমারের দলের পরনে ধুতি পাঞ্জাবি৷ অন্যদিকে সৌমিত্রর দলে ‘কে তুমি নন্দিনী’-র ট্যুইস্টের আমেজ৷ উপভোগ্য তরজাগানে অবশেষে জয়গান হল বাংলা চলচ্চিত্রেরই৷ উঠে এল বাংলা ছবির সেই সময়কে ‘স্বর্ণযুগ’ আখ্যা দেওয়ার কারিগর সেই চরিত্রাভিনেতারাও৷ যাঁরা ছবিতে না থাকলে ম্লান স্বয়ং নায়কও৷
advertisement
আরও পড়ুন : দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হয়েছিলেন! তিন দিন পরেই করোনামুক্ত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
কিন্তু কবিগানের মতো বিস্মৃতপ্রায় মাধ্যমকেই কেন বেছে নেওয়া হল? ‘উরিবাবা’ যাঁদের মানসসন্তান, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অমিত বসু জানালেন, ভুলে যাওয়া বাঙালি সংস্কৃতিকে নতুন করে তুলে ধরাই তাঁদের উদ্দেশ্য৷ বাঙালি আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা বিষয় নিয়ে প্রথম সিরিজে উপহার দেওয়া হবে পাঁচটি পর্ব৷
এখনও অবধি প্রকাশিত হয়েছে প্রথম পর্ব৷ ফিডব্যাক যে খুবই ভাল সেকথা জানালেন অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তী৷ তিনি ‘উরিবাবা’-র আর এক নেপথ্য কারিগর৷ বললেন, ‘‘কবিগান অপরিচিত বলেই আকর্ষণ বেশি হয়তো৷ অদেখাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছি আমরা৷ চিরাচরিত পথের বাইরে গিয়ে নন ফিকশনে কিছু করতে চেয়েছি৷’’
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর, ভর্তি হাসপাতালের আইসিইউ-তে
ঝকঝকে উপস্থাপনার পাশাপাশি ‘ঝালাগান পালাগান’-এর লিরিক্স বা কথাও আকর্ষণীয়৷ পুরনো আমেজ ধরে রাখা অথচ সপ্রতিভতায় ভরপুর কথা লিখেছেন দীপাংশু আচার্য৷ ঋত্বিক চক্রবর্তী, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যর প্রযোজনায় এই অনুষ্ঠানে গান করেছেন সোমনাথ পাল, রাজর্ষি ঘোষ, মানস আচার্য এবং সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সঙ্গীত পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে আছেন সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুরো বিষয়টির ভাবনা ও পরিকল্পনাও প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যর৷
আরও পড়ুন : বীরভূমের সোনামণির ডাকে সাড়া বুম্বাদার, ভক্তকে জানালেন, 'আসছি'
নতুন আঙ্গিকে কবিগানের লড়াই দেখে নেটিজেনরা মুগ্ধ৷ অবশ্য মুগ্ধতার আমেজ শুরু হয়েছে আরও বেশ কিছু মাস আগেই৷ ইউটিউব এবং ওয়েবসাইটে ‘উরিবাবা’-র যাত্রাপথের প্রথম থেকেই৷ মনোরঞ্জনের হরেক পশরা এখানে সাজানো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে৷ ‘উরিবাবা’-র ‘বিরহী’ ইতিমধ্যেই মন জয় করেছে নতুন প্রজন্মের৷ আপাতত ‘ঝালাগান পালাগান’-এ মন মজেছে দর্শকের৷ ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘শ্রীমান হংসরাজ’, ‘পলাতক’-ছবির কবিগানের তরজা হাজির শীতের বিনোদনকে নস্টালজিয়ায় উষ্ণ করে তুলতে৷