ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনয় তাঁকে ছুঁয়ে গিয়েছে৷ বর্ষীয়ান দুই অভিনেতার মধ্যে পারস্পরিক যে বোঝাপড়া, তা অসম্ভব সুন্দর৷ জানালেন সন্দীপ৷ প্রসঙ্গত ১৯৮৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’ ছবিতে প্রথম বার একসঙ্গে অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত৷ সৌমিত্র অভিনয় করেছিলেন সন্দীপের ভূমিকায়৷ স্বাতীলেখা ছিলেন বিমলার চরিত্রে৷ তাঁদের বলিষ্ঠ অভিনয় এ ছবির অন্যতম সম্পদ৷
advertisement
আরও পড়ুন : ‘এই বেলা শেষ হওয়ার নয়’...সৌমিত্র ও স্বাতীলেখাকে সম্মান জানিয়ে আমুলের শ্রদ্ধার্ঘ্য
‘ঘরে বাইরে’-এর দীর্ঘ দিন পর তাঁদের আবার একসঙ্গে দেখা যায় ২০১৫ সালে ‘বেলাশেষে’ ছবিতে৷ বিশ্বনাথ ও আরতির চরিত্রকে তাঁরা পৌঁছে দেন দর্শকদের মনের মণিকোঠায়৷ ‘বেলাশেষে’ মুক্তির ৭ বছর পর আবার তাঁরা ফিরলেন জুটি হয়ে৷ তবে ছবি মুক্তির আগেই নিজেরা বহু দূরে চলে গেলেন সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা, দু’জনেই৷
আরও পড়ুন : পল্লবী চলে গিয়েছেন বহুদূরে, কেমন আছে তার প্রিয় পোষ্যরা?
মুক্তিতেই বাজিমাত করেছে ‘বেলাশুরু’৷ প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের উন্মাদনা বলে দিচ্ছে জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া এক দম্পতির গল্প তাঁরা দেখতে কতটা আগ্রহী৷ ‘বেলাশুরু’ ছবির শেষটাও খুবই ভাল লেগেছে তাঁর, জানালেন সন্দীপ৷ শেষটা কী, তা অবশ্য প্রতিক্রিয়ায় জানাননি৷ দর্শকদের কাছে বিস্ময়টুকু ধরে রাখা থাক, চেয়েছেন তিনি৷ তবে তাঁর কাছে এ ছবির শেষ খুবই ‘তৃপ্তিদায়ক’৷ তিনি মনে করেন, যেটা হওয়া উচিত, সেটাই হয়েছে এই ছবিতে৷ এবং সেটাই তাঁর ভাল লেগেছে৷
আরও পড়ুন : যত খুশি খেয়েও ওজন কমিয়ে রোগা থাকতে চান? ভরসা রাখুন একমুঠো দানায়
সন্দীপ একা নন৷ তাঁর সঙ্গে সহমত দর্শকও৷ প্রেক্ষাগৃহে ‘বেলাশুরু’ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহের ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ছবি নিয়ে তাঁদের অনুভূতির পারদ কতটা৷