বাংলাদেশে সদ্য মুক্তি পাওয়া 'হাওয়া' সিনেমার গান ওপার বাংলার সীমান্ত ছাড়িয়ে এপার বাংলাতেও অন্যন্ত জনপ্রিয়। সেই সিনেমারই গান অতি প্রচলিত গান হল 'আটটা বাজে দেরি করিস না'। গানের রচয়িতার স্থানে লেখা রয়েছে 'সংগৃহীত'। কিন্তু গানটির রচয়িতা এখনও জীবিত। এখনও তিনি যথারীতি লোকগানের চর্চা করে চলেছেন। কিন্তু তাঁর নাম কেন উল্লেখিত হল না গানের রচয়িতার জায়গায়। বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা বছর ৮১-র মনিরুদ্দিন আমেদ। তাঁর সৃষ্টি অসংখ্য গানে গলা মিলিয়েছেন প্রতিথযশা শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে রিভলবার নিয়ে দাপাচ্ছে যুবক, সঙ্গে অ্যাসিডের বোতল! আমেরিকা নয়, মালদহের ঘটনা
তার মধ্যে অন্যতম আমিনুর রসিদ, স্বপ্না চক্রবর্তী, কার্তিক দাস বাউল, বাসুদেব দাস বাউল প্রমুখরা। সেই মণিরুদ্দিন আমেদের দাবি, বাংলাদেশে 'হাওয়া' সিনেমায় বিখ্যাত হওয়া 'আটটা বাজে দেরি করিস না' গানটি তিনি লিখেছিলেন ১৯৮৬ সালে। ক্যাসেটও হয়েছিল। গেয়েছিলেন নামী লোকশিল্পীরা। সেই গানই ফের 'হট কেক' হয়েছে বাংলাদেশের সেলুলয়েডে। কিন্তু, তার জন্য নূন্যতম সন্মানটুকুও মেলেনি গানটির রচয়িতার। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে লোকসঙ্গীতের জগতে।
আরও পড়ুন: মালদহের স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির 'চক্রান্ত'! গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মমতা
মনিরুদ্দিন আহমেদ অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মী। থাকেন বীরভূমের সিউড়ি লালকুঠি পাড়াতে। ৮১ বছর বয়সেও তাঁর নিরলস সঙ্গীত সাধনায় কোনও ছেদ পড়েনি। তাঁরই সৃষ্টি একটি গান বাংলাদেশ কাঁপাচ্ছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গানের রচয়িতা মনিরুদ্দিন আমেদ বলেন, ''কী করব। এখন মোবাইলের যুগ। কোথা থেকে কীভাবে পেয়েছে জানি না। আমার একটাই দাবি গানের সঙ্গে যেন আমার নামটা দেওয়া হয়।''
শুভদীপ পাল