আরও পড়ুন: ট্রেনের ছাদ থেকে ঝরঝর করে এ কী পড়ছে! অবন্তিকা এক্সপ্রেসের ভিডিও দেখে আঁতকে উঠল নেটপাড়া
প্রসঙ্গত, গল্পে দেখা যাচ্ছে, তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। ছুটে বেড়াচ্ছেন চারদিক। কিন্তু জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। পাবলিক টয়লেটে গেলে সেখান থেকেও তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গদের টয়লেট করার জায়গা নেই সেখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: সদ্যোজাত ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার স্বপ্ন চুরমার! বউয়ের মরদেহ কাঁধে তুলে দাহ করতে যেতে হয় রাজপালকে
এমন বহু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছেন যাঁদের প্রতি মুহূর্তে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মূলত তাঁদের কথা ভেবেই এই ছবি বানানোর পরিকল্পনা মাথায় আসে। বিশ্বভারতীর স্নাতক অলোক দাস নিজে শিলিগুড়ির ছেলে। তাই শিলিগুড়ির অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে শিলিগুড়িতেই এই কাজ করেছেন।
শিলিগুড়ি খবর | Siliguri News
সহকারী নির্দেশক হিসেবে ছিলেন অনুভব। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছে অনিত মুস্তাফি। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন প্রসেনজিৎ, পায়েল , দেবাশীষ, তত্ত্বব্রত ও বিশাল। ক্যামেরা এবং সম্পাদনায় ছিলেন মানব ঘোষ। সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়েছেন রজত ঘোষ। সিনেমার গান বেঁধেছেন ওপার বাংলার লিজু বাউলা। সব মিলিয়ে অলোকের এই সিনেমা সকলের মনে একটা প্রশ্ন রেখেই যায়।
অলোকের কথায়, ‘‘সুলভ শৌচালয়ের সব জায়গাতেই মহিলা এবং পুরুষদের জন্য চিহ্নিত করা। কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের কোনও জায়গা নেই। ফলে তাঁদের নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমি এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছি এবং আমার বলার মাধ্যম সিনেমা, তাই আমি আমার কথাগুলো সিনেমার মাধ্যমেই বলেছি। আশা করছি আমার কথা আমি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’’ অন্যদিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনীত অনিত মুস্তাফি জানান, ‘‘চরিত্রটি করতে গিয়ে আমার যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। যদিও এমন ধরনের চরিত্র আমি আগেও করেছিলাম। এই সমস্যাটা সত্যি রয়েছে। আমি আশা করছি আমাদের সিনেমাটা যদি সকলের কাছে পৌঁছোয়, তাহলে সুলভ শৌচালয়ে হয়তো এবার পুরুষ-মহিলার পাশে অন্য চিহ্নও থাকতে পারে আগামীতে।’’
অনির্বাণ রায়