দীর্ঘ ২৮ বছর পর রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হল পৌরাণিক যাত্রাপালা, যা লোকশিক্ষার চরম নিদর্শন। ‘বাঁকুড়া আটচালা’র উদ্যোগে মহাভারতের কাহিনি অবলম্বনে ‘ধর্মযুদ্ধ’ যাত্রাপালাটি অনুষ্ঠিত হয়। পৌরাণিক এই যাত্রাপালাটি দেখতে শুধু বাঁকুড়া শহরের দর্শকই ছিলেন না, ভূতশহর, ইন্দপুর, বিক্রমপুর, মোটগদা, জামবনি, গঙ্গাজলঘাটি, শুশুনিয়া, উখড়াডিহি ও সুদূর রঘুনাথপুরের মতো জায়গা থেকেও দর্শক যাত্রাপালার টানে রবীন্দ্রভবনে এসেছিলেন। বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহারাজ কৃত্তিবাসানন্দজি প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথনাটিকা, আগুন ঝরালেন বসিরহাটের তরুণরা
‘ধর্মযুদ্ধ’ যাত্রাটি করতে ৩২ জন চরিত্রের প্রয়োজন হয়েছে। ৩২ জনই বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। অনেকেই রয়েছেন যাদের পেশাগত নিশ্চয়তা পর্যন্ত নেই। যাত্রাটির গ্রহণযোগ্যতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আটচালার সম্পাদক সমন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যারা একটু পাগলাটে হয়, তারা এইভাবে নিজেদের কাজ করার পাশাপাশি শখের অভিনয় করেন। আমরা মনে করি ২৮ বছর পর ধর্মযুদ্ধ যাত্রা। এক অসম্ভবকে সম্ভব করা।”
সমাজের বুকে একটার পর একটা ক্ষত দেখা যাচ্ছে। রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন যাত্রা হল লোক শিক্ষার প্রসার। যখন গোটা বঙ্গে শোনা যাচ্ছে, ‘বিচারের চাই, বিচার চাই’। সেই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ধর্মযুদ্ধের মতো পৌরাণিক যাত্রা প্রায় ২৮ বছর পর রূপায়িত করা একটি বিশেষ বার্তা বহন করে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী