কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরে বরখাস্ত করা হয়েছিল যার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথিত গুলিবর্ষণে জেলার শীতলকুচিতে চারজন নিহত হয়েছিল। কোচবিহারের বিতর্কিত জেলা পুলিশ সুপার চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। যদিও এই প্রসঙ্গে দেবাশীষ ধর জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। তাঁর কাগজপত্র দিয়েই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও ঝুঁকি রাখতে না চেয়ে বিজেপির কার্যকর্তা দেবতনু ভট্টাচার্যকে ফের প্রার্থী করা হয়।
advertisement
জানা যায় দেবতনু ভট্টাচার্য ৯০–এর দশকে আরএসএসের প্রচারক হিসাবে সিউড়িতে আসেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির চারটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত ক্লাস্টার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বে আছেন। বীরভূম, বোলপুর, কাটোয়া এবং বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তিনি দলের পক্ষে পর্যবেক্ষক আছেন। তাই তাঁকে প্রার্থী করে নিশ্চিন্তে থাকতে চাইছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে দেবাশীষ ধর প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হলেও তিনি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন রাজনৈতিক মহলে তার এই প্রথম হাতে খড়ি। দ্বিতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন আর তার আগেই ভারতীয় জনতা পার্টির এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে বেশ জল্পনা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ৬২২ কোটির মালিক! দ্বিতীয় দফার সবচেয়ে বড়লোক প্রার্থীর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধর এবং দেবতনু ভট্টাচার্যের বিরোধী প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের এই আসনে তৃণমূল শতাব্দী রায়।এই আসন থেকে বারবার জিতে এসেছেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ তিন বারের সাংসদ তিনি। তাছাড়া হেভিওয়েট প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। সেখানে দেবাশিষ ধর আইপিএস হলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন।
—- সৌভিক রায়