১৯৯৯ থেকে টানা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এ বছরও অধীর চৌধুরী নিজের খাসতালুক থেকেই লড়াই করছেন।প্রতিপক্ষ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান ও অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী পেশায় চিকিৎসক নির্মল সাহা। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বহরমপুর দখল করতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা ভরসা রেখেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের উপরে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামীকে পদ থেকে সরাল কমিশন, ভোটের আগেই বড় পদক্ষেপ
advertisement
তাতে অবশ্য দমছেন না বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরী৷ কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “বহরমপুরে তৃণমূল জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অধীর বলেন, বহরমপুরে তৃণমূল জিতলে যদি আপনার জয় হয়, হারলেও আপনার পরাজয় আপনি মেনে নেবেন৷ এটা আপনি মানবেন, কথা দিতে হবে৷ আমার দু’টো কথা। বহরমপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল হেরে গেলে সেই হার মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় নিজের পরাজয় বলে মেনে নেবেন কি? হ্যাঁ বা না-তে বলুন। আর দুই, বহরমপুরে যদি তৃণমূল জিতে যায়, তাহলে রাজনীতি থেকেই অবসর নিয়ে নেব।”
তৃণমূল সরকার গঠনের পর ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বহরমপুরে সাড়ে তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন তিনি। এরপর অধীরকে পরাস্ত করতে কান্দির তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার তথা ডেভিড প্রার্থী হন তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে । তখনও ৭৯ হাজার ভোটে জয়ী হন অধীর চৌধুরী। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও এই অধীরকেই হারাতে মরিয়া তৃণমূল। অধীর গড়ে সংখ্যালঘু ভোট টানতে মরিয়া তারা। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটারকে দাঁড় করিয়ে তাঁর ‘ইমেজের’ উপরই ভোট বৈতরণী পাড় করতে চাইছে শাসকদল। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন চিকিৎসক নির্মল সাহা। ফলেবহরমপুরে শেষ হাসি কে হাসবে, সে দিকে শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের নজর রয়েছে।
কৌশিক অধিকারী