এটি মুর্শিদাবাদ জেলা প্রতিনিধিত্ব করে এবং বহরমপুর শহরে লোকসভা কেন্দ্রের সদর দফতর। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর, বহরমপুর, বেলডাঙা, রেজিনগর ও নওদা বিধানসভা নিয়ে গঠিত বহরমপুর লোকসভা। ১৯৯৯ সাল থেকে টানা কংগ্রেসের হাতে রয়েছে এই সংসদীয় এলাকা। টানা পাঁচবারের সাংসদ রয়েছেন অধীর চৌধুরী। এবছর লোকসভা নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ লড়াই।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ৪৫ সেকেন্ড! গোটা রায়গঞ্জ জুড়ে শোরগোল ফেলে দিল মোদি-কার্তিক কথোপকথন
একদিকে বিজেপির প্রার্থী ডাঃ নির্মল সাহা ও অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী খেলোয়াড় ইউসুফ পাঠান।২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার কে পরাজিত করে পঞ্চম বারের জন্য জয়ী হন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস ভোট পায় ৫লক্ষ ৯১ হাজার ১৬০। যার ভোটদানের হার ছিল ৪৫.৪ %। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী অপূর্ব সরকার ভোট পেয়েছিলেন ৫লক্ষ ১০ হাজার ৪১০ ভোট। ৩৯.২৬% ভোট পায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপি তৃতীয় স্হান দখল করেছিল কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৮টি ভোট। যা ছিল ১১ শতাংশ ভোট দানের হার।
তবে অধীর চৌধুরী তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকারকে পরাজিত করেছিলেন ৮০ হাজার ৬৯৬ ভোটে। তবে এবছর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। কেউ বলছে, পরিবর্তন চাই, কেউ বা বলছেন প্রত্যাবর্তন। তবে অনেকেই আবার চিকিৎসকের ওপর আস্থা রাখছেন। সাধারণ মানুষের দাবি, এ বছর পরিবর্তনের আশা আছে। তবে বহরমপুরের সিংহাসন কার দিকে যায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন।
—-কৌশিক অধিকারী