সম্প্রতি তিনি ২০২৫ সালের ব্লু ক্লাউড পাবলিশার্সের সেরা লেখক র্যাঙ্কিংয়ে সারা ভারত থেকে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। আর তাতে তিনি হলেন এই তালিকার সবচেয়ে কমবয়সি বিজয়ী।
অলিভিয়ার লেখা কবিতা “Shards Within” নির্বাচিত হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি জমা পড়া লেখার মধ্যে থেকে, যা এবার ১৪০টিরও বেশি দেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হবে।
advertisement
তবে এখানেই শেষ নয়। ইতিমধ্যেই ১৪ বইয়ে অলিভিয়ার লেখা স্থান পেয়েছে। তিনি বর্তমানে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং লেখালেখির পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত থেকেও নিজেকে শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
অলিভিয়ার বাবা নিতাই বর্মন একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আর মা জ্যোৎস্না রায় হাইস্কুলের শিক্ষিকা। পড়াশোনা শুরুর দিনগুলো কাটে নরসিংহ বিদ্যাপীঠে, যেখানে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের এই মেয়েটি যে একদিন বিশ্বমঞ্চে নিজের পরিচয় তুলে ধরবে, সেটা ভাবেননি কেউই।
২০২৪ সালে অলিভিয়া বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক স্তরে নজর কাড়েন। তিনি World Health Organization (WHO)-র মঞ্চে বক্তা হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন ১৪তম এশিয়ান ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস সম্মেলনে, যা অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়ায়।
“শব্দের ভাঙচুরের মধ্যেই আমি নিজেকে খুঁজি” — অলিভিয়া বলেন, তাঁর কবিতা ‘Shards Within’ সম্পর্কে। তাঁর লেখা কেবল ভাষার খেলা নয়, বরং মানসিক দ্বন্দ্ব, সমাজের চাপ, এবং একজন তরুণীর মনের অন্দরমহলের কথার এক আন্তরিক প্রকাশ।
আজ অলিভিয়া শুধু শিবমন্দির এলাকার নয়, বরং গোটা শিলিগুড়ির গর্ব। তাঁর এই যাত্রা প্রমাণ করে দেয়, সঠিক দিশা, সাহস আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে একজন তরুণীও পৌঁছতে পারেন আন্তর্জাতিক মহলে।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য