গত এক বছর গবেষণায় সাফল্যের ফলে বহু চাষী আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি। এর ফলে আগামী বছর এই প্রজেক্ট এর সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর প্রদেশের কিছু কিছু জায়গায় এই চাষ করার কথা ভাবছেন। বিজ্ঞানীরা সে বিষয়ে পদ্ধতিগত পরিকল্পনাও নিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: গর্ভধারণে সমস্যা? এর পিছনে দায়ী থাকতে পারে লো ওভারিয়ান রিজার্ভ, জানুন
advertisement
ভুট্টা সারির মধ্যবর্তী অংশের সাথী ফসল চাষের সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মশালা শিলিগুড়ি, মালদা ,কোচবিহার সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে। মিশ্র চাষে কি সুবিধা? প্রধান ফসলের পাশাপাশি একই জমিতে কয়েক ধরনের সবজি এবং শাক চাষ করে চাষীদের রোজগার কিছুটা হলেও বাড়বে । অপরদিকে বিক্রির পাশাপাশি চাষীদের পরিবারের সদস্যরা টাটকা সবজি পাবেন।
আরও পড়ুন: ছবিতে ঐক্য কিন্তু বাস্তবে কই, বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নিয়ে জোর চর্চা অন্দরেই
এছাড়াও ভোটটা তোলার আগে অতিরিক্ত ফসল চাষে কিছুটা টাকাও পাবেন। কৃষকরা এতে আর্থিক সহযোগিতা তো বটেই বরং পুষ্টিকর খাদ্য পাবেন কৃষকরা । পরীক্ষামূলকভাবে সাফল্য আশায় এবার বড় করে এই প্রজেক্ট করতে চাইছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোচবিহার এবং মালদায় এইভাবেই ভুট্টা চাষে ইতিমধ্যেই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে ফলে আশাবাদী তারা।
উত্তরবঙ্গের চাষিরা এই গবেষণায় উপকৃত হবে বলে আশাবাদী গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোগ তথ্য বিভাগের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের প্রকল্প আধিকারিক ডক্টর প্রতীক মাধব ভট্টাচার্য বলেন, "অতিরিক্ত রোজগার এবং পুষ্টিকর খাদ্য গুণের জন্য কৃষকদের মধ্যে এই চাষে সারা পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ভুট্টা কিংবা আখের সারির মধ্যবর্তী জায়গায় সবজি চাষ নিয়ে বড় ধরনের প্রজেক্ট করতে চলেছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৩ সাল থেকেই এই প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।"
অনির্বাণ রায়।