তানিশের বাবা গনেশ ভট্টাচার্য পেশায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করেন সামান্য বেতনে। ছেলের পড়াশোনার জন্য সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোচিং বা ব্যয়বহুল প্রাইভেট টিউশন দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবুও ছেলে হাল ছাড়েনি। তানিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কেমিস্ট্রি। এই বিষয়ে কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না তার। কিন্তু সে নিজেই খুঁজে নেয় বিকল্প পথ। বিভিন্ন শিক্ষকের অনলাইন ভিডিও দেখে, নিজে নিজে পড়ে, নোট তৈরি করে, বুঝে নিয়ে তৈরি হয়েছে সে।
advertisement
নিজের সাফল্যের নেপথ্যে ইন্টারনেটকে বড় শিক্ষক হিসেবে মানে সে। তানিশ জানায়, “প্রচুর বিনামূল্যে রিসোর্স আছে অনলাইনে। আমি শুধু ঠিকভাবে পরিকল্পনা করে নিয়মিত পড়েছি, আর ভুলগুলো ধরে ধরে শুধরেছি।” লক্ষ্য ছিল একটাই-NEET, আর তার প্রস্তুতি চলেছে একেবারে একাগ্রতায়। তানিশের লক্ষ্য এখন কার্ডিওলজিস্ট হওয়া। ছোটবেলা থেকে তিনি দেখেছে বাবার অসুস্থতা এবং সেই সূত্রে চিকিৎসার দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তানিশ জানায়, “অনেক চিকিৎসক আছেন, যাঁরা আর্থিক লাভকে চিকিৎসার চেয়ে বড় করে দেখেন। এতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। আমি চাই, ভবিষ্যতে এমন এক চিকিৎসক হই, যার কাছে সেবাই হবে মুখ্য।” তানিশ আজ শুধু নিজের পরিবারের নয়, বরং গোটা সমাজের কাছে এক প্রেরণার নাম। সে প্রমাণ করেছে-অর্থ না থাকলেও, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাফল্যকে ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব।