কলকাতা: ২০২৬ সালের মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় বিতর্ক প্রশ্ন নিয়ে সতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সিলেবাস বহির্ভূত কোনও বিতর্কিত প্রশ্ন হলে এবার দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পর্ষদের এই নয়া নির্দেশ জেরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্নের এমন কোনও বিতর্কিত প্রশ্ন রাখা যাবে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশিকা নিয়ে কলকাতার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘প্রশ্ন করবেন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরা। তা মুখ বন্ধ করা খামে করে চলে যাবে ছাপাতে। সেখান থেকে আবার গোপনীয়তার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে যাবে। সেখানে প্রধান শিক্ষকরা সব প্রশ্ন দেখলে গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’’
advertisement
আবার বেশ কিছু প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, ‘‘আমরা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের বৈঠক করে পরিষ্কার বলে দিয়েছে সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন করার সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদেরও সতর্ক থাকা উচিত।’’
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘বোর্ড এই নির্দেশের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের যে রকম সতর্ক করেছে, অপরদিকে প্রশ্ন নিয়ে অবাঞ্ছিত বিতর্ক এড়াতে যাঁরা প্রশ্নকর্তা তাঁদের সতর্ক থাকা উচিত, বলে আমি মনে করি। প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক এড়াতে সব পক্ষকে সজাগ থাকতে হবে।’’
পর্ষদের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে প্রতিটি বিষয় প্রশ্ন করবেন স্কুলের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকেরা। টেস্টের প্রশ্ন করতে হবে স্কুলকেই। কোনও সংগঠন বা এজেন্সির মাধ্যমে প্রশ্ন কেনা যাবে না। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘প্রশ্ন তৈরি থেকে ছাপানো সবটাই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের নজরদারিতে হওয়ার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সব কিছুর নিয়ন্ত্রক হন বিদ্যালয় প্রধান। তাই বিচ্যুতিতে তার দায় এক্ষেত্রে অস্বীকার করা যায় না।’’
পর্ষদ জানিয়েছে, প্রতিটি স্কুলকে তাদের টেস্টের প্রশ্ন পরীক্ষা শেষে পর্ষদ অফিসে নির্দিষ্ট ই-মেলে পাঠাতে হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘কোনও স্কুল এই নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার গ্রহণ করার সময়সীমা ৩ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।